শিক্ষা

কেন ও কোথায় পড়বেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং!

কেন ও কোথায় পড়বেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং!

ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, প্রকৌশল…কত রকম বিষয় আছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। কোন বিষয়ে আমি পড়বেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্যিই কঠিন। আজ আলোচনা করা হলো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা বা এর ভবিষৎ কি?

পড়ার বিষয় যখন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

বাংলাদেশে চাকরির বাজারে বর্তমানে যে কয়টি বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে রয়েছে চাকরির বড় বাজার। সরকারের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত দেশী-বিদেশী টেক্সটাইল মিল, বিভিন্ন বায়িং অফিস, বুটিক হাউস, ফ্যাশন হাউস, গার্মেন্ট শিল্পে ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন পজিশনে কাজের সুযোগ রয়েছে। আর যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করেছেন তারা এই দেশের ই টেক্সটইল ইঞ্জিনিয়াররা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ কে টেক্সটাইল সেক্টরের পরবর্তি চীন হিসেবে ঘোষনা করেছে। তাই এই ক্ষেত্রটি আমাদের দেশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বা আয় কেমন:

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করতে পারেন। একজন দক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৭০-৮০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। টেক্সটাইল শিল্পে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অভিজ্ঞতার যথেষ্ট মূল্যায়ন করা হয়। একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন তাদের কর্মের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর নির্ধারিত হওয়ার মাধ্যমে দ্রুত বাড়ে। ফলে সেই সঙ্গে বাড়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদেয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও।

See also  রাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৪ জুন

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের ক্ষেত্র 

বস্ত্র প্রকৌশলীদের চাকরির বাজারে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো -তাদের পেশা জীবন অনিশ্চিত নয়। শুধু রপ্তানি খাতে সিংহভাগ বস্ত্র জোগানোই নয়, দেশের বস্ত্র চাহিদা পূরণের জন্যই বস্ত্র প্রকৌশলীদের নানা জায়গায় রয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ। অনেকে মনে করেন, বস্ত্র কৌশলীদের চাকরি শুধু টেক্সটাইল মিলগুলোতেই সীমাবদ্ধ।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে রয়েছে চাকরির বড় বাজার। যদি চাকরির কথা বলি, তাহলে বলব আমাদের দেশে যে পরিমাণ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন, তার অর্ধেকও আমরা জোগান দিতে পারছি না। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করে যে কেউ খুব সহজেই পোশাকশিল্পের কাজে নিজেকে জড়াতে পারেন। এখন পর্যন্ত আমাদের শিক্ষার্থীরা সাধারণত দুই ধরনের চাকরিতে অভ্যস্ত।

See also  গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আকর্ষণীয় স্কলারশিপে ভর্তি চলছে

কারখানায় উৎপাদন এবং বায়িং হাউসের মার্চেন্ডাইজার। শুরুতে মার্চেন্ডাইজারদের বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতরা যখন অভিজ্ঞ হওয়া শুরু করেন, তখন তাঁদের চাহিদা বাড়তে থাকে, বেতনও। সরকারের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত দেশী-বিদেশী টেক্সটাইল মিল, মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, কাস্টমস, বিনিয়োগ বোর্ড, বিসিক, বিজিএমইএ, বিজিএম, জুট, রিসার্চ, তুলা উন্ন্নয়ন বোর্ড, রেশম বোর্ড, বিএমবিআই, বিভিন্ন বায়িং অফিস, বুটিক হাউস, ফ্যাশন হাউস, গার্মেন্ট শিল্পে ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বড় বড় পজিশনে কাজের অবারিত সুযোগ রয়েছে।

মূলত টেক্সটাইল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যে কোনো ছোট-বড় টেক্সটাইল বা গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির পণ্য উৎপাদন কার্যক্রমের প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কম্পোজিট শিল্প, স্পিনিং, উইভিংসহ গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানেও তারা কাজ করে থাকেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব ও বেসরকারি ব্যাংক এবং শিল্পঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর শিল্পঋণ বিতরণ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ রয়েছে। ফলে শুধু দেশের অভ্যন্তরেই তাদের জন্য রয়েছে বিশাল কাজের ক্ষেত্র।

See also  হাঙ্গেরি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বছরে ১৩০টি বৃত্তি দেবে

কেমন যোগ্যতা চাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে

চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তারা এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য নিয়ম ভিন্ন। তাই যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিতে হবে। তবে এই বিষয়টির প্রতি তীব্র ভালবাসা অনেক জরুরি।

কোথায় পড়া যাবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

বাংলাদেশে যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে-

  • বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
  • গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
  • আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
  • ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
  • সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি
  • প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *