ফুটবল

নেইমার কেন বললেন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার মেসি?

নেইমার কেন বললেন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার মেসি?বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের এক নাম্বার তারকা লিওনেল মেসি। এ ব্যাপারে কারো দ্বিতমত নেই। কোপা আমেরিকা জয়ের পর সবারই মাতামাতি লিওনেল মেসিকে নিয়ে। এই ফুটবলার কোপা আমেরিকা দিয়েই তার ক্যারিয়ারে প্রথম বড় কোনো ট্রফি জিতলেন আর্জেন্টিনার হয়ে। সাথে আর্জেন্টিনার ঘরে ২৮ বছর পর কোনো ট্রফি।

তবে এবার ফুটবলের ইতিহাসে লিওনেল মেসিই সেরা, তার চেয়ে বড় আর কেউ নেই। এমন মন্তব্য করেছেন ফুটবল সম্রাট পেলের দেশের এক ফুটবলার! তিনি নেইমার দ্য সিলভা সান্তোস জুনিয়র। সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর মেসিকেই সেরা হিসেবে রায় দিয়েছেন তিনি।

See also  বার্সায় যাবার গুঞ্জনের মধ্যেই পিএসজির অনুশীলনে অবশেষে নেইমার!

তিনি আরও লিখেছেন, মেসি আমার বন্ধু, ভাইও। প্রচণ্ড মন খারাপ নিয়েই ওকে বলি, তুমি আমার হারিয়ে দিলে। আজ হেরে কিছুই ভাল লাগছে না। আমি জানি মেসির মতো মানুষ হয় না। ওর প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা। সেটা শুধু ফুটবলে ওর অবদানের জন্য নয়। আমার জন্য ও যা করেছে সেটাও তার একটা কারণ।

নেইমার যোগ করেন, হারের পরে আমার নিজের চোখে খেলতে দেখা বিশ্বের সব চেয়ে বড় আর ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলারকে আলিঙ্গন করতে যাই। আমি মেসিকে বললাম, আমি নিজে হারতে ঘৃণা করি। তবু এই ট্রফি জয় উপভোগ করো। ফুটবলই চেয়েছিল তোমাকে চ্যাম্পিয়ন দেখতে। অনেক অভিনন্দন ভাই।

See also  মেসি নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোতে বড়ই বিবর্ণ!

মেসির জন্য যেন নিজের আবেগ উজাড় করে দিয়েছেন নেইমার। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন তারকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, কোপার ফাইনালে হারটা আমার কাছে চূড়ান্ত হৃদয়বিদারক। এ জীবনে আমি কখনো পরাজয় মেনে নিতে শিখিনি।

কোপা জয়টা আর্জেন্টিনার গত ২৮ বছরে প্রথম বড় খেতাব। আর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মেসি নিজে দেশের জার্সিতে জিতলেন প্রথম ট্রফি। টুর্নামেন্টে করেছেন চারটি গোল ও পাঁচ অ্যাসিস্ট। প্রত্যাশিতভাবেই প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলারও নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

বর্তমানে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে সব চেয়ে বড় আগ্রহের জায়গা, মেসি তার প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তি করেন কি না। বার্সা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তে অবশ্য মেসিকে ক্যাম্প ন্যুতে রেখে দেওয়ার ব্যাপারে এখনো একই রকম আত্মবিশ্বাসী। দাবি করেছেন, চুক্তিপত্র তৈরি করার কাজও নাকি শেষের মুখে।