উল্রেখ্য করোনাভাইরাসের কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আরও দুই সপ্তাহ আগে।
বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ৩০ ডিসেম্বর লটারির প্রস্তাব করা হয়েছে। লটারির কাজটি হবে সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এমন প্রস্তাব দিয়েছে মাউশি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই সবাইকে সময়সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে। তখন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোও কীভাবে নিজস্ব ব্যবস্থায় আবেদনপত্র বিতরণ ও লটারির কাজটি করবে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ঢাকার বাইরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোর বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগরীতে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি শাখা রয়েছে। ঢাকার এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এর সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয়ও যুক্ত হচ্ছে। এগুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজটি হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির সিদ্ধান্ত হলো, এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা ভাগ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। এবার একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এত দিন একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারত।
ঢাকা মহানগরীর সব কটি সরকারি বিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন অনলাইনে করতে হবে। টেলিটক এই কাজটি করে দেবে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনেই লটারির কাজটি হবে, এতে সময় কম লাগবে। তাই ৩০ ডিসেম্বর এক দিনেই সব কটি বিদ্যালয়ের লটারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এরপর নির্বাচিত বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতেও অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।
গত ২৫ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণির মতো সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোতে অর্ধেক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বসবাসরত (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) শিক্ষার্থীদের। এত দিন ঢাকা মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোতে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেত আশপাশের এলাকা থেকে।
এত দিন সারা দেশের স্কুলগুলোয় প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। আর নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের (জিপিএ) ভিত্তিতে। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই নবম শ্রেণিতেও জেএসসি ও জেডিসির ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ নেই।