আবেদনের শর্তসহ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে আবেদন শুরু হবে। মেডিকেল ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন আগামী ১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
কারা আবেদন করতে পারবেন
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৭ বা ২০১৮ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণরা ভর্তি আবেদন করতে পারবেন। তবে ২০১৭ সালের আগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
দেশ কিংবা বিদেশে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯ হতে হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পার্বত্য জেলার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ হতে হবে। এছাড়া, সবার জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।
প্রবেশপত্র কবে পাবেন শিক্ষার্থীরা
আগামী ২০ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তির জন্য প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
ভর্তি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে
আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর সময়কাল এক ঘণ্টা।
পরীক্ষাপদ্ধতি ও মেধাতালিকার নিয়ম
একশটি এমসিকিউ প্রশ্নের (প্রতিটির মান ১) পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নবিদ্যায় ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১০ নম্বর থাকবে।
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সর্বমোট নম্বর (এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৫ গুন, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৫ গুন এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর) ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবলমাত্র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ১৫ গুন সমান ৭৫ নম্বর এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ এর ২৫ গুন সমান ৭৫ নম্বর থাকবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং ‘ও’ লেভেল ‘এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাদের পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা বরাবর দুই হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারসহ আবেদন করে জিপিএ রূপান্তর করে সমমানের সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় আইডি নম্বর নিতে হবে।
সমমানের সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় এসএসসি সনদপত্রের সত্যায়িত কপি সঙ্গে আনতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী/পার্বত্য জেলার অ-উপজাতি কোটায় আবেদনকারীদের যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি/পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় সনদের স্মারক নম্বর বা সনদ নম্বর ও তারিখ অনলাইনে আবেদনের এন্ট্রি করতে হবে। অন্যথায় কোটাগুলো অনলাইন এন্ট্রি হবে না।
আবেদনের নিয়মাবলি