Site icon ঢাকা বুলেটিন

কেন এবং কোথায় পড়বেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং

কেন এবং কোথায় পড়বেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং

কেন পড়বেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং?

তড়িৎ প্রকৌশল বা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রায়শ তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বা ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে অভিহিত) প্রকৌশল পেশার একটি প্রধান শাখা যা মূলত তড়িৎ, ইলেক্ট্রনিক্স/বৈদ‍্যুতিক বিজ্ঞান ও তড়িচ্চুম্বকত্ব নিয়ে কাজ করে। উল্লেখযোগ্য পেশা হিসেবে তড়িৎ প্রকৌশল আত্মপ্রকাশ করে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে, যখন টেলিগ্রাফি এবং বিদ্যুৎশক্তির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। বর্তমানে তড়িৎ প্রকৌশলের ব্যাপ্তি বিদ্যুৎশক্তি, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক্স, টেলিযোগাযোগ সহ আরও কিছু উপশাখা জুড়ে বিস্তৃত।

কেন ইংরেজীতে অনার্স করবেন? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন-ইংরেজিতে অনার্স পড়ার ভবিষ্যৎ কি?

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে মূলত বড় ধরনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বা যন্ত্রপাতি যেমন বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চালন, বৈদ্যুতিক মোটর নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদনকেই বুঝানো হয়। অন্যদিকে ক্ষুদ্র আকারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন কম্পিউটার, সমন্বিত বর্তনী ইত্যাদি সংক্রান্ত কার্যাবলীকে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। সহজ কথায় বলতে গেলে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা শক্তি সঞ্চালনের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ব্যবহার করেন। আর ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়াররা তথ্য আদান প্রদানে বিদ্যুৎ শক্তিকে ব্যবহার করে থাকেন।

কিউএস র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ৪ বিশ্ববিদ্যালয়, এগিয়েছে বুয়েট ও ঢাবি

বর্তমান সময়ের বিদ্যুৎ শক্তির উপর সবকিছু নির্ভরশীল। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ উৎপাদন সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক মোটর, রাডার এবং ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অটোমোবাইল, জাহাজ ও বিমানের বৈদ্যুতিক সিস্টেম প্রভৃতি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকেন। পাওয়ার প্ল্যান্ট, শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক মোটর, অটোমোবাইল, এয়ারক্র্যাফ, স্পেস ক্র্যাফের ইগনিশন সিস্টেম এবং সব ধরণের ইঞ্জিনের ডিজাইন, উৎপাদন এবং পরিচালনা করে। এরা বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের উন্নত পদ্ধতি গবেষণা ও ডিজাইন করে। সাধারনত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির সাথে তড়িৎচুম্বকীয়তত্ত্বের প্রয়োগ। সাধারণত ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়াররা (EEE বা ইইই) যেসব কাজ করে থাকেঃ

কেন ও কোথায় পড়বেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং!

তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশলীদের জ্ঞানের প্রয়োগ ক্ষেত্র সমূহ

তড়িৎ প্রকৌশলের অনেক শাখা রয়েছে, তার মধ্যে নিম্নোক্ত শাখাগুলো সর্বাপেক্ষা পরিচিত। অনেক তড়িৎ প্রকৌশলী এগুলোর একটি শাখায় কাজ করলেও অনেকেই আবার একাধিক শাখার সমন্বয়ে কাজ করেন। যেমনঃ

BSc in EEE এর মেজর বিষয়সমূহ

অনেক বড় পরিসরেই বিস্তৃত রয়েছে ইইই’র মেজন সমূহ। তবে আপাত দৃষ্টিতে ইইইকে ভাগ করা যায় চারটি উপশ্রেণীতে।

যেখানে পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন কে ফোকাস করে এবং কম্পিউটারের প্রাথমিক প্রয়োজনীয় ধারণাকে সংমিশ্রিত করে গঠিত ইইই বিষয়টি।

BSc in EEEতে ভর্তির সর্বনিম্ন যোগ্যতা 

বিএসসি ইন ইইইতে ভর্তির জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন রকম যোগ্যতা নির্ধারণ করে থাকে। চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তারা এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য নিয়ম ভিন্ন। তাই যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিতে হবে। সাধারণত সর্বনিম্ন যোগ্যতা হিসেবে যা চাওয়া হয় নিম্নে তা উল্লেখ করা হলোঃ

BSc in EEE সম্পন্ন করতে কতবছর লেখাপড়া করতে হবে

IEEE এর সদস্য

এই EEEতে খুব সহজেই নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে। আর আরও একটা মজার জিনিসের সাথে যােগদান করতে পারবে ,আর তা হচ্ছে IEEE (Institute of Electrical and Electronics Engineers) প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়িয়ার ,ছাত্র ও শিক্ষক নিয়েই এই সংগঠন | এখানে যেকেউ যােগাযােগ স্থাপন করতে পারবে বিশ্বের বড় বড় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের সাথে দেখতে পারবে বর্তমান বিশ্বের নতুন নতুন আবিষ্কার | IEEE তে প্রকাশিত রিসার্চ জার্নালগুলােকে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বের সাথে দেখা এবং পড়া হয়। আর নিজের আবিষ্কার গুলাও তুলে ধরতে পারে এখানে | আর কারও আবিষ্কার যদি হয় মানব কল্যাণমূলক তাহলে IEEE তাকে বেশ ভাল মানের স্কলারশিপ দিবে।

BSc in EEE-তে গ্রাজুয়েশন করে কোথায় কাজ পেতে পারেন

যত দিন পৃথিবী টিকে থাকবে ততদিন এর ডিমান্ড থাকবে। দেশে থাকতে পারলেও যেমন সোনায় সোহাগা, তেমনি দেশের বাইরে যেয়ে পড়াশোনা করারও অফুরন্ত সুযোগ। দেশে বিদেশে সব জায়গাতেই উচ্চমর্যাদা। চাকরি নেই, হাজার হাজার স্টুডেন্ট হয়ে গেছে, এমন শোনা কথায় কান দিয়ে লাভ নেই। যদি যোগ্যতা আর মেধা থাকে, তবে ইইই পড়ে একদিনও বেকার বসে থাকতে হবেনা বরং চাকরিই আপনাকে খুঁজে নিবে।

উল্লেখ যোগ্য কাজের ক্ষেত্র সমূহ ‍নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী, রেলওয়ে হাসপাতাল ইত্যাদিতে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চাকুরীর সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যেমন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ সংস্থা, টেলিযোগাযোগ ও অপটিক্যাল ফাইবার শিল্প, ন্যাভিগেশনাল সরঞ্জাম উৎপাদন শিল্প, এরোস্পেস শিল্প অটোমোবাইল শিল্প, নিমার্ণ ও স্থাপত্য সংস্থা ইত্যাদিতে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেন-BSc in EEE 

বাংলাদেশে BSc in EEE পড়ার জন্য অনেকগুলো সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েটসহ বেশ কয়েকটি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বেশীরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়তেই BSc in EEE রয়েছে। তবে নিম্নের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির বিষয়ে খোজ-খবর নিয়ে দেখতে পারেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইইই বিভাগ IEB Accredited।

  1. United International University (UIU)
  2. BRAC University (BRACU)
  3. Independent University Bangladesh (IUB)
  4. East West University (EWU)
  5. American International University-Bangladesh (AIUB)
  6. North South University (NSU)
  7. Daffodil International University
  8. Green University of Bangladesh (GUB)
  9. University of Asia Pacific (UAP)
  10. University of Liberal Arts Bangladesh
  11. IUBAT – International University of Business Agriculture and Technology
  12. International Islamic University Chittagong (IIUC)

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে সুযোগ কেমন

আপনি যদি গ্রাজুয়েশনের পর আরো উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাহলে আপনার জন্য বিশ্বের উন্নত দেশ গুরোর প্রায় সব দেশেই সুযোগ রয়েছে। আর তাছাড়া আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলীয়া, জাপান, জার্মানিসহ প্রায় সকল উন্নত দেশে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

Exit mobile version