শিক্ষা

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: ভর্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে এবার

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: ভর্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে এবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। যেখানে গতকাল বৃস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মোট আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭১২টি। এর মধ্যে ‘ক’ ইউনিটে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮০৬টি, ‘খ’ ইউনিটে ৪৭ হাজার ৯৬২টি, ‘গ’ ইউনিটে ২৭ হাজার ৭৫৬টি, ‘ঘ’ ইউনিটে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৩৭টি এবং ‘চ’ ইউনিটে ২২ হাজার ৬৫১টি আবেদন জমা পড়েছে। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট আসনসংখ্যা ৭ হাজার ১০৩টি। এর মধ্যে ‘ক’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৯৫টি, ‘খ’ ইউনিটে ২ হাজার ৩৬৩টি, ‘গ’ ইউনিটে ১ হাজার ২৫০, ‘ঘ’ ইউনিটে ১ হাজার ৫৬০ এবং ‘চ’ ইউনিটে ১৩৫টি আসন রয়েছে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পাঁচটি ইউনিটে মোট শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছিলেন ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। সে হিসাবে এবার আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।

See also  ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু | GST Admission 2020-21

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময়

আগামী ২১ মে (শুক্রবার) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, ২২ মে (শনিবার) কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ২৭ মে (বৃহস্পতিবার) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট, ২৮ মে (শুক্রবার) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট ও ৫ জুন (শনিবার) চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘চ’ ইউনিটের (অঙ্কন) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ জুন (শনিবার)। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ও নম্বর বণ্টন

‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ৪৫ মিনিটে এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিটে দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। তবে ‘চ’ ইউনিটের তত্ত্বীয় পরীক্ষার ৪০ নম্বরের জন্য ৩০ মিনিট আর লিখিত ৬০ (অঙ্কন) নম্বরের পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা সকাল ১১টায় শুরু হয়ে সাড়ে ১২টায় শেষ হবে।

See also  রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২০ অক্টোবর, পদ্ধতিতে পরিবর্তন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়  মেধাতালিকা কীভাবে হবে

‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এ ক্ষেত্রে ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। উত্তর দেওয়ার জন্য ৪৫ মিনিট করে সময় থাকবে। ‘চ’ ইউনিটে ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হবে। সময় ৩০ মিনিট। এর ফলাফলের ভিত্তিতে পরে মেধাক্রম অনুযায়ী ১ হাজার ৫০০ জন ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নেবেন। অঙ্কন পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। পাঁচটি ইউনিটেই প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ১০ করে মোট ২০ নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।

 

‘ক’ ইউনিটে আবেদন করতে হলে এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ–৩.৫সহ মোট ৮.৫; ‘খ’ ইউনিটে আলাদাভাবে জিপিএ–৩সহ মোট ৮; ‘গ’ ইউনিটে আলাদাভাবে জিপিএ–৩.৫সহ মোট ৮ থাকতে হবে। বিভাগ পরিবর্তনের ‘ঘ’ ইউনিটে নিজ নিজ ইউনিটে যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া ‘চ’ ইউনিটে আবেদন করতে হলে এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদাভাবে জিপিএ–৩সহ মোট ৭ থাকতে হবে।