বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়া প্রোগাম ও কোর্স পরিচালনা এবং অনুমোদিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে লাল তারকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে সেমিস্টার প্রতি ভর্তির আসন সংখ্যা ৪০। যদিও গত শিক্ষাবর্ষে শুধু এক সেমিস্টারেই বিভাগটিতে নয় শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, অধিকাংশ প্রোগ্রামের ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে অনুমোদিত আসনের কয়েক গুণ বেশি।
লাল তারকা চিহ্নিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি না হতে পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। অনুমোদিত প্রোগ্রাম ও এর আসন সংখ্যা নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।
আরও বলা হয়, কমিশনের অনুমোদনহীন ভবন ও ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, ছয় মাসের অধিককাল যাবৎ আচার্য কর্তৃক নিযুক্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার না থাকা, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বসহ অন্যান্য সমস্যার কারণেও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে লাল তারকা প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, অনুমোদিত আসনের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করার কোন সুযোগ নেই। কোন বিশ্ববিদ্যালয় এটি করে থাকলে তা আইনগতভাবে বৈধ হবে না। অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া এসব শিক্ষার্থীর সনদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট বিক্রির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে।
অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইউজিসি অনুমোদিত আসনসংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইউজিসির একজন সদস্যকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে ‘ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: অনুমোদিত আসন ৪০ ভর্তি হয়েছে ৯০০’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।