জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন পড়তে কেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি
প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী এখন একটি ‘ছোট্টগ্রাম’। সে গ্রামে সেই ব্যাক্তি সবচেয়ে অগ্রসর বাসিন্দা, যার কাছে বেশি তথ্য আছে। একজন সাংবাদিক হলেন তথ্যের কারিগর। নিজেকে প্রকাশ করার, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ঘটনা মানুষকে জানানোর এই মোহনীয় অভিজ্ঞতার সঙ্গে আর কিছুরই তুলনা চলে না।
বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বেই দিন দিন বেড়েই চলেছে টিভি ও দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা। সেই সঙ্গে হালনাগাদ খবর জানতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন গণমাধ্যমও। ফলে এসব গণমাধ্যমে প্রয়োজন হচ্ছে দক্ষ সংবাদকর্মীর।
এ ছাড়া কেবল সংবাদপত্রই এখন তাদের কর্মক্ষেত্র নয়। বাংলাদেশে রয়েছে দুই ডজনের বেশি স্যাটেলাইট টেলিভিশন, বেশ কটি এফএম রেডিও ছাড়াও যোগ হয়েছে নতুন নতুন অনলাইন গণমাধ্যম। অন্যান্য গণমাধ্যমের চেয়ে আগেভাগে খবর দেওয়ায় মানুষ একাধিক অনলাইন পত্রিকা পড়ছে। কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ছবির সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে অডিও, ভিডিও। চলছে বেশ কটি কমিউনিটি রেডিও-ও।
সময়ের চাহিদা তথা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখে এ বিষয়ে যুগোপযোগী ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (জিইউবি) ২০১৯ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগ চালু করে। মূলত: ২০০৩ সালে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া’র ওপর স্নাতক কোর্স চালু হয়। সেটিই এখন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগে রুপান্তরিত হয়েছে। দেশবরেণ্য নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মরহুম আবদুল্লাহ আল-মামুন ছিলেন এই বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
যাত্রালগ্ন থেকেই বিভাগটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পূর্ণকালীন হিসেবে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারীদের পাশাপাশি খ্যাতনামা সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক ও গবেষকরা এ বিভাগে খণ্ডকালীন পাঠদান করে আসছেন। তথ্যগত ধারণার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত করে তুলতে এখানে নিয়মিতভাবে সাংবাদিকতার বিভিন্ন ধারা, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এবং সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কর্মশালা, সেমিনার-আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে পাঠদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিভাগ একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে চায় বলে জানান বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. অলিউর রহমান।
সাংবাদিকতা নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির আত্মস্থ করানোর দায়িত্ব মিডিয়া হাউসগুলো যেমন নেবে তেমনি এই ধারণাগুলোর জন্য গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে সিলেবাসে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছে। অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার শিক্ষকরা বলছেন, ‘পাঠক-দর্শকের চাহিদার কারণেই সাংবাদিকতার ধরন বদলে যাচ্ছে। মানুষ এখন একই সঙ্গে পড়তে, দেখতে ও শুনতে চায়। ফলে ডিজিটাল গণমাধ্যমের বিকল্প কিছু ভাবার সুযোগ নেই। মার্ক ডিউজের মতে ”মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা পাঠ্য, চিত্র, অডিও, ভিডিও এবং অন্যান্য ফর্ম্যাট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের উপাদান দ্বারা বর্ধিত নিউজ কাহিনীকে বোঝায়”।
জার্নালিজমের পাশাপাশি মিডিয়া কমিউনিকেশনে গ্রাজুয়েটদের বিজ্ঞাপন-ডকুমেন্টারি-চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, চিত্রগ্রাহক, ভিডিও এডিটর, এনিমেটর, উপস্থাপক ও সংবাদ পাঠক হিসেবে বা দেশি-বিদেশি এনজিও অথবা অন্যান্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজের বাইরেও গবেষণার বিস্তর সুযোগ রয়েছে।
দেশের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়, সে জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর বিশেষ ছাড়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, সহোদর, স্বামী-স্ত্রী কোটায় আংশিক এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। এ ছাড়া ভর্তির পর পরীক্ষার ফলের ওপর দেওয়া হচ্ছে বিশেষ বৃত্তি।
ভর্তির যোগ্যতা: চার বছর মেয়াদি, অর্থাৎ ৮ সেমিস্টার ‘জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন’ প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ ২.৫০ বা ও-লেভেলে ৫টি বিষয় এবং এ-লেভেলে ২টি বিষয়ে পাস হতে হবে।
অনলাইনে ভর্তির জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
https://applyonline.green.edu.bd/
ভর্তির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:
+8801324713502, +8801324713503,
+8801324713504, +8801324713507, +8801324713508