গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। আজ শনিবার বিকেলে এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির বক্তব্যে মিশা সওদাগর এই ঘোষণা দেন।
এ দুই নায়িকা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত, এমন অভিযোগ এনে শনিবার দুপুরে সমিতির সদস্যদের ডেকে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে মিশা সওদাগর বলেন, ‘পরীমনির ঘটনাটি আমাদের চলচ্চিত্র তথা শিল্পী সমাজের জন্য বিব্রতকর। আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। তার বিষয়টির মামলা চলমান। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। আমরা সমিতির কার্যকরী কমিটির বিশেষ সভায় সদস্যদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার সদস্যপদ স্থগিত করার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ স্থগিতাদেশ সাময়িক। যদি পরী আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হবে। অন্যথায় আমরা আবারও সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেব।’ তিনি বলেন, শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬-এর খ এবং ৯-এর গ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সদস্য যদি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরীর বিষয়ে অভিনেত্রী অঞ্জনা বলেন, ‘সন্ধ্যার পর মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়া বিপজ্জনক। শুধু পরিমনীর নয়, গোটা সমাজের নারীদের এটা মনে রাখা উচিত। কারণ যেখানে কোনো বিপদ থাকে সেটার থেকে দূরে থাকা উচিত। তাছাড়া পরীমনি ঘরের মধ্যে কি করল সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মাসুম পারভেজ রুবেল, কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য অঞ্জনা সুলতানা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আলেকজান্ডার বো, জ্যাকি আলমগীর প্রমুখ।