হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে যে কারণে?
হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে যে কারণে?
কিডনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। এটি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে সেক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা। তাই কিডনির যে কোনো সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। আবার কয়েকটি কারণ আছে, যার মাধ্যমেও হঠাৎ করেই আপনার কিডনি বিকল হয়ে পড়তে পারে।
Read: রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর সহজ উপায় | যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহে বিপাক-উৎপন্ন-বর্জ্য বা দূষিত পদার্থকে নিষ্কাশন করা, যার অন্যতম হলো ইউরিয়া। এ ছাড়া শরীরে পানি, লবণ, অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাও কিডনির কাজ। কিডনি বিকল হলে দেখা দিতে পারে জরুরি প্রাণসংহারী অবস্থা।
Read: চুল পেকে যাচ্ছে? পাকা চুল কালো করার কয়েকটি ঘরোয়া টিপস!
হঠাৎ কিডনি বিকল হয় কেন?
- এর কারণ হতে পারে পানিশূন্যতা কিংবা ডায়রিয়া। যারা দৈনিক রোদে কাজ করেন ও পানি খাওয়ার সময় পান না, তদের ক্ষেত্রে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে। আবার হাসপাতালে যেসব রোগী আসে, তাদের মধ্যে হঠাৎ করে কিডনি বিকল হয় বিভিন্ন ওষুধ সেবনের জন্য। এর ভেতর অ্যান্টিবায়োটিক প্রধান। এ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ খেলেও হঠাৎ করে কিডনি বিকল হয়ে যায়।
- এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ খাওয়া, প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া, কিডনিতে বেশি পাথর জমা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ ইউরিন ইনফেকশনের কারণে একদিনের হঠাৎ করেই কিডনি বিকল হতে পারে।
- বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডায়রিয়া থেকে পানিশূন্যতাই আকস্মিক কিডনি বিকলের অন্যতম কারণ। তাই ডায়রিয়া হলেই তাৎক্ষণিক খাবার স্যালাইন খেতে হবে, যাতে পানিশূন্যতা না হয়। এছাড়াও ‘ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকে কারণেও আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে। তাই যখন তখন ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়েটিক খাওয়া যাবে না। তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে খাবার, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট!
কীভাবে বুঝবেন আপনার কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে?
- তলপেটে বা মূত্রনালিতে ব্যথা
- প্রস্রাবে পাথর যাওয়া ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া
- চোখের পাতা বা পা ফোলা
- ত্বকের রং ফ্যাকাশে হওয়া
- স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
- হঠাৎ করে শরীরে চুলকানি হওয়া
- ফুসকুড়ি বা র্যাশ
- গলা ব্যথা, বমি বমি ভাব ও ক্ষুধামন্দা
- প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব
- মেরুদণ্ডের দুপাশে ব্যথা।
- শরীরে কালচে হয়ে যাওয়া
- ঘুমের ব্যঘাত
গ্রিন টি আসলেই করোনা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে?
ইউরিন ও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই কিডনির সমস্যা সনাক্ত করা যায়। প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হলে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে। আর কিডনির সমস্যা ধরা পড়লেই তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।
কারণ এক থেকে পঞ্চম ধাপে দিয়ে কিডনি ফেউলিওর হয়, তখন রোগীকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তৃতীয় ধাপে থাকলে ওষুধের মাধ্যমে কিডনির ক্ষতির সম্ভাবনা কমিয়ে আনা হয়। এর ফলে রোগী আরও বেশ কয়েকটি বছর সুস্থ থাকতে পারেন।