স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইগ্রেন হলো জিনঘটিত রোগ। আবার মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল নার্ভ উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। এ ছাড়া সেরেটোনিন নামক কেমিক্যালের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এ ব্যথা হয়ে থাকে। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা মাইগ্রেনের সমস্যা কম করতে পারে।আসুন, সেসব খাবার সম্পর্কে জেনে নি
আদা
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি দিতে পারে আদা। লেবু ও আদার রস একসঙ্গে বা আদা চা মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আদা কুচি করে চিবালেও উপকার পাওয়া যায়।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। মাইগ্রেনের ব্যথায় ম্যাগনেসিয়াম খুবই কার্যকর। শস্য, সামুদ্রিক খাবার এবং গমেও প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
মাছ
মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন-ই পাওয়া যায়। এ দুটি উপাদান মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
বাদাম
কাজুবাদাম, ওয়ালনাট ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ, তাই মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে এগুলো খেতে পারেন।
দুধ
মাইগ্রেনের সমস্যায় ফ্যাট-ফ্রি দুধ পান করা খুবই উপকারী। দুধে ভিটামিন-বি পাওয়া যায়, যা কোষকে এনার্জি জোগায়।
কফি
সাধারণ মাথাব্যথার ক্ষেত্রে যেমন কফি বা চা পান করা উপকারী হয়, তেমনই এটি মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও সহায়ক।
আঙুর
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে আঙুর বা আঙুরের রস খেতে পারেন। অল্প পানিতে আঙুরের রস মিশিয়ে খেতে পারলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ব্রকলি
ব্রকলিতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
দারুচিনি
আমাদের খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি দারচিনি (দারুচিনি) মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আধা কাপ জলের সঙ্গে আধা চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে কপালে মেখে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এর পর উষ্ণ জলে ধুয়ে নিলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অনেকটাই কম বোধ হবে।
যা খাবেন না
চকলেট, অ্যালকোহল (ওয়াইন), ডিম, দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য, পেঁয়াজ, টমেটো, সাদা রুটি মাইগ্রেনের অ্যাটাকের সময় খাওয়া উচিত নয়। আর মনে রাখবেন মাইগ্রেনের ব্যথার সময় প্রচুর পানি পান করবেন।