আপনি কি ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করেন? রাতে দুধ পান করা ঘুমের মান উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে। দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিডটি স্বাভাবিক ঘুম আনয়নে সহায়তা করে। কখনো কি দুধের সাথে গুড় মিশিয়ে খেয়েছেন? পুষ্টিবিদরা বলেন, দুধের সাথে গুড় মিশিয়ে খেলে এটি শুধুমাত্র স্বাদই বাড়ায় না, বরং দুধের পুষ্টিগুণও বৃদ্ধি করে। এই মিশ্রণটি সুপার ড্রিঙ্কে রূপান্তরিত হতে পারে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুমানোর আগে দুধের সাথে গুড় মিশিয়ে খাওয়ার কিছু উপকারিতা:
১. হজমের উন্নতি করে
যদি আপনি হজমজনিত সমস্যায় ভোগেন, তবে গুড় মেশানো দুধ সহায়ক হতে পারে। গুড়ের রেচক গুণাবলি এবং পাচক এনজাইম সক্রিয় করার ক্ষমতা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকর। তাই দুধ ঘুম আনার পাশাপাশি হজমের উন্নতি করে, আর গুড় যোগ করলে এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকে আরও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
২. মাসিকের ব্যথা লাঘব করে
পিরিয়ডের সময় উষ্ণ পানীয় আরামদায়ক হতে পারে এবং গুড় মেশানো দুধও সেই কাজ করে। দুধে থাকা উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম পেশীর খিঁচুনি থেকে মুক্তি দেয়। অন্যদিকে, গুড়ে থাকা আয়রন এবং ফোলেট সঠিক রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে সহায়ক, যা মাসিকের সময় ব্যথা উপশম করতে পারে।
৩. ত্বকের জন্য উপকারী
উজ্জ্বল ত্বকের আকাঙ্ক্ষা কার না থাকে? দুধ ও গুড়ের সংমিশ্রণ আপনাকে সেই কাঙ্ক্ষিত ত্বক পেতে সাহায্য করতে পারে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ)-এর মতে, গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য। এছাড়া, গুড় রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে, যা ত্বকে প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর আভা এনে দেয়।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
গুড় মেশানো দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। দুধ ও গুড় উভয়ই ইমিউন সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। শোবার আগে এই পানীয়টি পান করলে শরীর ক্ষতিকারক সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠে এবং সাধারণ সর্দি ও কাশি থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক হয়।
৫. জয়েন্টের ব্যথা লাঘব করে
আপনি কি জানেন, গুড় মেশানো দুধ জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে পারে? দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড়কে মজবুত করতে সহায়ক। গুড় যোগ করলে দুধের পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি পায়, কারণ গুড়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়ক।