কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়বেন দেখে নিন |
বুধবার (১৯ মে) দুপুরে সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর, হোগলাডাঙ্গা, কামাল প্রতাপ ও হবখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করে বিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। পাশাপাশি এলাকার অবহেলিত রাস্তা, কালভার্ট, স্কুল, মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ফেসবুকে আসছে অর্থ আয়ের নতুন সুযোগ-মার্ক জাকারবার্গ
বিভিন্ন এলাকার বিবাদ মীমাংসারও চেষ্টা করতে দেখা গেছে তাকে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনি এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে ইতনা এসপিএল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিবাদ মীমাংসায় সবার উদ্দেশে দেওয়া একটি বক্তব্য মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে এমন সাবলীল ভাষায় দেওয়া বক্তব্যটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তার ওই বক্তব্যের পর এলাকার দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিবাদের অবসান ঘটেছে।
সেখানে মাশরাফির দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মাশরাফি বলেন, ঈদের নামাজ আপনারা ৩০টা রোজা রেখেও পড়তে পারেননি! অমুক নেতা ঢাকায় বসে বলছে মাইরে দিয়ে আয়, আপনি মেরে দিলেন! মাইরে দিয়ে এসে আপনার কী হলো, আপনি বুঝলেন না। সে কি আপনার মামলা লড়ে? কোনো দিন লড়ছে? জেল যা খাটার তা তো আপনারাই খাটছেন, নাকি? খাটছেন না?
তিনি বলেন, তারা আপনাদের কী দেয়? খাইতে দেয়? এই ধরেন আমার কথায় আপনারা এইগুলো করতেছেন, ধইরে নিলাম! আমি আপনাকে খাইতে দিই? পরতে দিই? ছেলেমেয়ের পড়াশোনা করাই? হাসপাতালে ভর্তি করাই? তাহলে আমি কিসের নেতা! আমার কথায় আপনি আরেকজনকে মেরে ফেলবেন! মারামারি করবেন তো খবর আছে। কেউ মারামারি করবেন না, এইবার কিন্তু কোনো পিরিত হবে না!
গত নয় মাসে ৮৬ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির রেকর্ড
মাশরাফি বলেন, এই এলাকায় আসলাম পুরো রাস্তাটাই ছিল খারাপ। এখন পর্যন্ত কারও মুখে শুনলাম না যে ভাই আমাদের এই রাস্তাটা ঠিক করে দেন। শুধু রাস্তার মাঝপথে একজন মায়ের বয়সী নারী আমাকে অনুরোধ করলেন, বাবা, আমাদের এই রাস্তাটা একটু ঠিক করে দেন।
দেখুন ঠিক কি কারণে সন্দেহপ্রবণ মানুষের আয়ু কম হয়!
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ইতনা ইউনিয়নের দুর্গম পাংখারচর গ্রামের চলমান বিরোধে হত্যাসহ ২২টি মামলা ছিল। দেড় বছর আগে মামলাগুলো মীমাংসা হলেও দেড় মাস পর থেকে আবার বিরোধের সৃষ্টি হয়। এবার সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তাজার উপস্থিতিতে মীমাংসা করা হলো। আশা করি, এখন থেকে এলাকাবাসী শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে। সেখানে দীর্ঘদিন পরে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।