স্যোসাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতেছে যার দলের অধিনায়কই তো একজন আইরিশ। হ্যাঁ এখানে মরগ্যানের কথা বলা হয়েছে। মরগ্যানের মা ইংরেজ, বাবা আইরিশ। তিনি আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু তার মা ইংরেজ বলে তার জন্ম থেকেই ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল, সে সূত্রেই তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন ২০০৭ থেকে। কিথ বার্জ নামে একজন স্যোসাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ড দারুণ খেলেছে, যার অধিনায়ক, প্রধান ব্যাটসম্যান, দ্রুততম বোলার, সেরা অলরাউন্ডার এবং প্রধান স্পিনার সবাই অভিবাসী বা অভিবাসীর সন্তান।’
ইংল্যান্ড দলে শ্বেতাঙ্গ ইংরেজ খেলোয়াড় যেমন আছেন, তেমনি পাঁচ জন আছেন, যাদের জন্ম অন্য দেশে, বা অভিবাসী পরিবারে। বাস্তবেই তাই। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ইয়োইন মরগ্যানের জন্ম আয়ারল্যান্ডে, বেন স্টোকসের জন্ম নিউজিল্যান্ডে, জফ্রা আর্চারের জন্ম বার্বাডোজে, জ্যাসন রয় এবং টম কুরান দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত, আর মইন আলি এবং আদিল রশিদের জন্ম পাকিস্তান থেকে আসা অভিবাসী পরিবারে। ইংল্যান্ড দলের ‘হিরো’ বেন স্টোকস নিজেই জন্মসূত্রে একজন নিউজিল্যান্ডার – জন্মেছেন ক্রাইস্টচার্চে, তার বাবা নিউজিল্যান্ড দলের হয়ে রাগবি খেলেছেন, রাগবি কোচ হিসেবে চাকরি নিয়েই তার বাবার ইংল্যান্ডে আসা। তখন বেন স্টোকসের বয়স ১২।
আগে নিয়ম ছিল ইংল্যান্ড দলে খেলতে হলে তাকে ব্রিটিশ নাগরিক হতে হবে, তার জন্ম ইংল্যান্ড বা ওয়েলসে হতে হবে। তবে গত বছর এই নিয়মে একটি ধারা সংযোজন করা হয় যাতে বলা আছে তিন বছর ইংল্যান্ড বা ওয়েলসে বসবাস করলেই একজন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারবেন। এ শর্ত পূরণ করেই তিনি ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন জফ্রা আর্চার। কেউ কেউ বলেন তাকে খেলার সুযোগ দিতেই ওই নিয়ম পরিবর্তন করেছে ইসিবি। আর্চারের জন্ম বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে, তবে তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এবং তার বাবা ইংরেজ। তিনি ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুর্ধ-১৯ দলের হয়েও খেলেছেন।
ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ইয়োইন মরগ্যান একজন আইরিশ-বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার।শুধু তাই নয় তিনি ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন। মরগ্যানের মা ইংবেজ, বাবা আইরিশ। তিনি আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু তার মা ইংরেজ বলে তার জন্ম থেকেই ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল, সে সূত্রেই তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন ২০০৭ থেকে।