বঙ্গবন্ধু বিপিএলের তৃতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম। ঢাকার দেয়া ১২৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে টপাটপ উইকেট পড়ে চট্টগ্রামের। ক্রিজে এসেই আউট হয়ে যান ইমরুল। তবে মাশরাফির বদান্যতায় বেঁচে যান তিনি। বন্দরনগরীর ব্যাটিং ইনিংসের ৩.৪ ওভারে ডিফেন্স করে ব্যাট দিয়ে দাগ স্পর্শ না করেই উইকেটে হাঁটা শুরু করেন ইমরুল। অসাধারণ থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন ঢাকার ফিল্ডার শাদাব খান। আউটের আবেদন করেন ফিল্ডাররা। কিন্তু মাশরাফি না করায় শেষ পর্যন্ত রক্ষা পান তিনি।
ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন ইমরুল কায়েস। তবে ঢাকা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কারণে সেই যাত্রায় বেঁচে যান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক। সেই তিনিই শেষ পর্যন্ত ঢাকার হারের অন্যতম কারণ হয়ে যান। এ আউট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইমরুলের ‘ম্যানার’ শেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মাশরাফি। যদিও কথাটি সিরিয়াসলি বলেননি তিনি।
ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, সত্যি কথা বলতে ফিল্ডিং সাইড এমন আউট নিতে পারে। ক্রিকেট নিয়ম মেনে এগোলে থার্ড আম্পায়ার হয়তো আউটটি দিয়ে দিতেন। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, তামিম খেলছে,আমি খেলছি, আমরা যারা সিনিয়ররা খেলছি তাদের জন্য এ আউট নেয়া ভালো দেখায় না। তাই ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, শেষ অবধি ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইমরুল। কিন্তু সে আমার কাছে এসে ধন্যবাদও বলেনি। তাই তার ‘ম্যানার’ শেখা উচিত। তবে এটা মাশরাফির নিছক মজা ছিল। ম্যাচ শেষে ইমরুলের সঙ্গে করমর্দন ও কোলাকুলি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানের অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ইমরুল। ওই সময় তিনি আউট হয়ে গেলে ম্যাচের গল্প অন্যরকমও হতে পারতো।