দেখুন ঠিক কি কারণে অধিনায়কত্ব করতে না হলেই ‘ভালো হতো’ বলছেন সাকিব
সোমবার আফগানদের বিপক্ষে হেরে আসার পর হতাশা ঝরল তার কন্ঠে, ‘অধিনায়কত্ব যদি না করতে হয়, তাহলে সেটা সব থেকে ভালো হবে আমার জন্য। আমার কাছে মনে হয় নিজের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, ব্যক্তিগত দিক থেকে চিন্তা করলে। আর নেতৃত্ব যদি দিতেই হয়, তাহলে অবশ্যই অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করার ব্যাপার আছে।’ বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক এখন সাকিব। মাশরাফি মর্তুজা ক্যারিয়ারের শেষ দিকে থাকায় তার হাতে পড়তে পারে ওয়ানডে দলেরও ভার। সব মিলিয়ে এই অবস্থায় দলকে অধিনায়কত্ব দিতে কিছুটা অনিচ্ছার কথা জানালেন তিনি। তবে যদি অধিনায়কত্ব করতেই হয় তাহলে বিসিবির কাছে নিজের চাহিদাও জানাতে চান বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার।
তিন সংস্করণেই মোটামুটি একই দল খেলায় বাংলাদেশ। সাকিব চাইছেন এভাবে না গিয়ে কে কিসে পারদর্শি সেই বিবেচনায় যেতে হবে, ‘আমাদের বুঝতে হবে যে কে কোন ফরম্যাটের জন্য ভালো হবে। সেটাতেই লেগে থাকতে হবে। খুব বেশি বাছাই করার আমাদের জায়গা নেই। কারণ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ যদি দেখেন, একটি সেট আপে হয়, যেখানে মাত্র ১০-১১টি ম্যাচ হয়। এগুলো দেখেই আমাদের খেলোয়াড় বাছাই করতে হয়। একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল, সেখান থেকে খেলোয়াড় বাছাই করতে হয়। একটি হয় জাতীয় লিগ। এই তিন ফরম্যাট থেকে আমাদের তিন ধরণের খেলোয়াড় বাছাই করতে হয়। তাই খুব বেশি অপশন আছে বলে আমার মনে হয় না।’ ‘সত্যি কথা বলতে, এটা উপলব্ধি করতে হবে যে ওই খেলোয়াড়ের ওই ফরম্যাট খেলা প্রাপ্য, তার ওই ফরম্যাটে ভালো করার সম্ভাবনা আছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, সামগ্রিক একটি বড় পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। তা না হলে হয়তো এমন ফলাফল মাঝে মাঝেই চলে আসবে।
গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ আছে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। হতাশার বিশ্বকাপের পর এখনো কাটেনি দুঃসময়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাজেভাবে টেস্ট হারের পর সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে বাংলাদেশের। এই খারাপ সময়ে দলকে নেতৃত্ব দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে। নিজের পারফরম্যান্সের জন্যই অধিনায়কত্বটা থেকে সরতেই পারলেই যেন বাঁচেন তিনি।