সাকিব কেন টেস্ট খেলতে চান না!
সাদা জার্সিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নন সাকিব আল হাসান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের হারার পর এ কথা বলেছেন টাইগার অধিনায়ক। এর আগেও পরোক্ষভাবে বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বললেন অন্য কথা। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের নাকি টেস্ট খেলার প্রতিই আগ্রহ কম।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেন সাকিব আল হাসান। তিনি জানিয়েছেন দলের বর্তমান অবস্থার কারণে বাধ্য হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাকিবের এমন বক্তব্যে বিরক্ত বিসিবি সভাপতি। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘টেস্ট খেলায় আগ্রহ নেই সাকিবের। এজন্য সে অধিনায়কত্ব নিয়ে এমন কথা বলছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘টেস্ট খেলায় আগ্রহ নেই সাকিবের। যে কারণে সে টেস্টে অধিনায়কত্ব করতে চাচ্ছে না। বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘ওর টেস্টের ব্যাপারে আগ্রহ খুব একটা নেই, বাইরে যখন দল যাচ্ছিল, তখনও বিশ্রাম চাচ্ছিল। এর আগে ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে টেস্ট থেকে বিশ্রাম নিতে ছয় মাসের ছুটির আবেদন করেন সাকিব। বিসিবি অবশ্য তিন মাসের ছুটি মঞ্জুর করেছিল। ছুটিতে থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলা হয়নি সাকিবের।
টেস্ট ক্রিকেট খেলায় অনীহার কারণেই সাকিব বিশ্রাম নেয়। এমনটি জানিয়ে বিসিবি সভাপতি, ‘টেস্ট খেলার ইচ্ছা নেই বলেই হয়তো মাঝেমধ্যে টেস্টের সময় বিশ্রাম নিতো সে, আমাদের ধারণা তেমনই।’ এমনকি সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গে আলোচনাতে এমন কোনো প্রসঙ্গ উঠে আসেনি বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি, ‘ও অনেক সার্ভিস দিয়েছে, আমরা মনে করি সে হলো সেরা অধিনায়ক। আমাদের হাতে যে বিকল্পগুলো আছে, তাদের মধ্যে থেকে সে সেরা। এখন পর্যন্ত সে আমাদের কিছু বলেনি, মিডিয়াতে বলেছে যে যদি থাকি কিংবা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে- এই ধরনের একটি কথা বলেছে। আমি গতকাল ওর সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু সেখানে এমন কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি।’
তবে বোর্ড সভাপতির ধারণা, মিডিয়াতে যাই বলেছেন সাকিব তা কেবল আফগানদের কাছে হারের হতাশা থেকেই বলেছেন, ‘ও আমাদের সঙ্গে যখন বলবে, তখন ফরমালি বলব। হয় কি, মন-টন খারাপ থাকে তো। ও তো আগে কয়টা টেস্টে খেলেও নাই। এসে হঠাৎ করে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারল, আর আমাদের ছেলেরা তো একটু আবেগি। ঠাণ্ডা মাথায় যা বলার বলব, যদি সে বলে।’