ধোনি-যাদবের এমন ব্যাটিং দেখে তাজ্জব দুই ভারতীয় কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। ওই সময় কমেন্ট্রি বক্সে ছিলেন তারা। অজস্র প্রশ্ন ছুড়ে দেন দুই মহারথী। সৌরভ-লক্ষ্মণের প্রশ্ন, হাতে উইকেট থাকার পরও কেন এমন বিবর্ণ ব্যাটিং? ঠিক কী করতে চাইছে ধোনি-যাদব? ভারতের সাবেক অধিনায়কের কৌশলটাই বা কি? অবশ্য ম্যাচ শেষে এসবের জবাব দেন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, চেষ্টা করেছিলেন এমএস। তবে ইংলিশ বোলাররা ভালো বল করেছেন। সেজন্য বাউন্ডারি পাচ্ছিলেন না তিনি। চেষ্টা করব ঘুরে দাঁড়ানোর।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে টুইট করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসও। তিনি বলেন, যে ম্যাচ জিততে কোনো চেষ্টাই করেনি টিম ইন্ডিয়া। ধোনির এমন ব্যাটিং দেখে বিস্মিত ওয়াকার। ভারতের সাবেক অধিনায়ককে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। সাবেক পাক পেসার বলেন, এ সেই তুমি নও, ক্যারিয়ারে অতীতে যা করেছ। পাকিস্তান সেমিতে গেলে বা না উঠলে আমি মোটেও কষ্ট পাব না। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট- কিছু চ্যাম্পিয়নের স্পোর্টসম্যানশিপ পরীক্ষা হয়েছে। তাতে তারা মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইংলিশদের ৩৩৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২৮/১ রান তোলে ভারত। ওই সময় ক্রিজে ছিলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৭১ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টি যুগে এ রান তোলা অসম্ভব কিছু ছিল না। তবে ক্রিজে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনি বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি। অতীতে বহুবার এ রকম ম্যাচ ফিনিশিং করতে দেখা গেছে তাকে। ৩১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩১ রানে হেরে যায় ভারত।