ভারতীয় গণমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে কোহলিদের ‘ধীরগতি’র ব্যাটিং নিয়ে!
শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১০৪। হাতে ছিল ৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টি যুগে এ রান তোলা অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু লেশমাত্র সেই প্রচেষ্টা করেননি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। বিশেষত ফিনিশারখ্যাত মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদব। ভারতের হারে কণ্টকাকীর্ণ হয়ে গেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকার সেমিফাইনাল যাওয়ার রাস্তা।
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এতে ফিক্সিং নিয়ে কথাবার্তা বলা হচ্ছে। আকার-ইঙ্গিতে নানা আভাস দেয়া হচ্ছে। খোদ ভারতীয় গণমাধ্যমেও একই অভিযোগের সুর ফুটে উঠেছে। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিনিউজ আবার আরেক কাঠি সরেস। তারা শুধু ধোনি-যাদবকেই নয়, স্বয়ং অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। এ নিয়ে বিস্তর প্রতিবেদন ছাপিয়েছে গণমাধ্যমটি।
ধোনি-যাদবের এমন ব্যাটিং দেখে তাজ্জব দুই ভারতীয় কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষ্মণও। ওই সময় কমেন্ট্রি বক্সে ছিলেন তারা। অজস্র প্রশ্ন ছুড়ে দেন দুই মহারথী। সৌরভ-লক্ষ্মণের প্রশ্ন, হাতে উইকেট থাকার পরও কেন এমন বিবর্ণ ব্যাটিং? ঠিক কী করতে চাইছে ধোনি-যাদব? ভারতের সাবেক অধিনায়কের কৌশলটাই বা কি?
অবশ্য ম্যাচ শেষে এসবের জবাব দেন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, চেষ্টা করেছিলেন এমএস। তবে ইংলিশ বোলাররা ভালো বল করেছেন। সেজন্য বাউন্ডারি পাচ্ছিলেন না তিনি। চেষ্টা করব ঘুরে দাঁড়ানোর।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে টুইট করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিস। যে ম্যাচ জিততে কোনো চেষ্টাই করেনি টিম ইন্ডিয়া।
ধোনির এমন ব্যাটিং দেখে বিস্মিত ওয়াকারও। ভারতের সাবেক অধিনায়ককে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। সাবেক পাক পেসার বলেন, এ সেই তুমি নও, ক্যারিয়ারে অতীতে যা করেছ। পাকিস্তান সেমিতে গেলে বা না উঠলে আমি মোটেও কষ্ট পাব না। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট- কিছু চ্যাম্পিয়নের স্পোর্টসম্যানশিপ পরীক্ষা হয়েছে। তাতে তারা মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইংলিশদের ৩৩৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২৮/১ রান তোলে ভারত। ওই সময় ক্রিজে ছিলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৭১ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টি যুগে এ রান তোলা অসম্ভব কিছু ছিল না। তবে ক্রিজে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনি বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি। অতীতে বহুবার এ রকম ম্যাচ ফিনিশিং করতে দেখা গেছে তাকে। ৩১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩১ রানে হেরে যায় ভারত।