২০১৭ সালে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরোতে নেইমারকে নিয়ে সে মৌসুমেই এমবাপ্পেকে দলে নিয়েছিল পিএসজি। প্রথম মৌসুমটা এমবাপ্পে ধারে খেললেও পরের মৌসুমেই ১৮ কোটি ইউরোতে ফরাসি সেনসেশনের দলবদল চূড়ান্ত করেছে পিএসজি। এভাবে দুই খেলোয়াড়ের পেছনেই ৪০ কোটি ২০ লাখ ইউরো খরচ করে ইউরোপ জয়ের আশা করেছিল পিএসজি। এ মৌসুমে সে স্বপ্ন প্রায় পূরণ হয়েই গিয়েছিল তাদের। ফাইনালে উঠেও অবশ্য বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে বসেছে তারা। তবে এ হারও তাদের বিশ্বাস বাড়িয়েছে। নেইমার তাই এবার পিএসজি ঘিরেই স্বপ্ন বুনছেন। এই প্রথমবার কোনো দলবদলের মৌসুমে নেইমারের ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা শোনা যায়নি।
এমন সুখের সংসারে হঠাৎ আগুন লাগার খবর এল। গত ছয় মাস ধরেই এমবাপ্পের চুক্তি নবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে পিএসজি। কিন্তু বারবার সে আলোচনা পিছিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে। আর টাইমসের খবর সত্যি হয়ে থাকলে আজ তো নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েই দিলেন।
‘ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করবে।’
মাত্র ১৮ বছর বয়সী কোনো ফুটবলারের মুখে এমন আত্মবিশ্বাস শোনা যায় না। কিন্তু ২০১৭ সালে রিয়াল মাদ্রিদ যখন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে টানতে চেয়েছিল, তখন রিয়াল নয়, পিএসজিকে বেছে নিয়েছিলেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। রিয়ালের মতো ক্লাবে গিয়ে বেঞ্চে বসে থাকার ঝুঁকি আছে। এর চেয়ে পিএসজিতে নিয়মিত খেলেই নিজেকে আরও পরিণত করতে চেয়েছেন। আর সে সঙ্গে বিশ্বাস রেখেছেন নিজের ওপর। তাঁর বিশ্বাস ছিল, তাঁর জন্য রিয়াল অপেক্ষায় থাকবে। শুধু নিজেকে বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত করে নেওয়া দরকার।
এমবাপ্পে নিজেকে প্রস্তুত বলেই মনে করছেন। সানডে টাইমসের এক বিশেষ প্রতিবেদন জানিয়েছে, পিএসজিকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে। আর সে সিদ্ধান্ত হলো, ২০২২ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকলেও ২০২১ সালেই ক্লাব ছাড়তে চান। এমন এক খবরে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছেন সবাই। আর এ আলোচনার ঢেউটা সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে দুই শহরে। একটি তো বোঝাই যাচ্ছে—মাদ্রিদ। আর অন্যটি? লিভারপুল।
২০১৪ সাল থেকে এমবাপ্পের সঙ্গে রিয়ালের নাম জড়ালেও গত এক বছরে লিভারপুলের নামও সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে উঠে এসেছে। ইয়ুর্গেন ক্লপের খেলার ধরন বেশ পছন্দ এমবাপ্পের, ওদিকে আবার রিয়ালের ডাগআউটে আছেন এমবাপ্পের আদর্শ জিনেদিন জিদান। এমবাপ্পে যদি ক্লাব ছাড়তেই চান, তাহলে তাঁকে পেতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠবে, কিন্তু এমবাপ্পেকে পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকবে এ দুই দলই।