ফুটবল খেলা শুরুর পর পেলের মত ফুটবলারের রেকর্ড ভাঙবেন, এটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বার্সেলোনা অধিনায়ক। কোনো রেকর্ডই ভাঙতে পারবেন কি না, সেটাও ভাবতে পারেননি, পেলেরটা তো অনেক দুরের ব্যাপার।
নির্দিষ্ট এক ক্লাবের হয়ে শুধুমাত্র মেসি ও পেলেরই রয়েছে ৬০০’র বেশি গোল। এছাড়া তালিকার পরের নামগুলো যথাক্রমে জার্ড মুলার (বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৫৭০ গোল), ফার্নান্দো পেয়রেতেয়ো (স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে ৫৬৯ গোল) এবং জোসেফ বিকান (স্লাভিয়া প্রাহার হয়ে ৫৪৪ গোল)।
মঙ্গলবার রাতে রিয়াল ভায়োদলিদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। যেখানে তৃতীয় গোলটি ছিল মেসির। ম্যাচের ৬৫ মিনিটের সময় পেদ্রির কাছ থেকে পাওয়া বল নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলে পরিণত করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। এ গোলের মাধ্যমেই তিনি বসেছেন ৬৪৪ গোলের চূড়ায়।
২০১৯ সালের শেষে নির্দিষ্ট এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভাঙতে লিওনেল মেসির প্রয়োজন ছিল ২৬ গোল। বছরের শুরুর দিনই স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার পক্ষ থেকে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছিল এ লক্ষ্যটি। করোনা জর্জরিত বছরে অনেক কম খেলা হলেও, লক্ষ্য ঠিকই পূরণ করেছেন মেসি।
চলতি বছর এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২৬ গোল করে ফেলেছেন মেসি, ভেঙে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের করা ৬৪৩ গোলের রেকর্ড। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের হয়ে ১৯ মৌসুমে এ গোল করেছিলেন পেলে। এখন বার্সেলোনার হয়ে ১৭ মৌসুমেই মেসির গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪৪টি।
রেকর্ড গড়া ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দেন মেসি। যেখানে তিনি লিখেন, ‘যখন আমি ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম, তখন কখনোই চিন্তা করতে পারিনি যে কোনো রেকর্ড ভাঙতে পারবো। বিশেষ করে আজ (মঙ্গলবার) আমি যে রেকর্ড ভেঙেছি, যেটা পেলের মত গ্রেট ফুটবলারের। আমি এখন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার ফুটবল ক্যারিয়ারজুড়ে সহযোগিতা করে এসেছেন। আমার সতীর্থ, পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং সে সব ভক্ত এবং সমর্থককে, যারা আমাকে প্রতিদিন সমর্থন দিয়ে গেছেন।’