ফুটবল

নেইমারের ধর্ষণ মামলায় নতুন তথ্য, সে রেহাই পাচ্ছে কিনা দেখে নিন!

Neymar-the king of modern football

নেইমার বিরুদ্ধে গত জুন মাসে আনা ধর্ষণের অভিযোগ ও পরে মামলার বিষয়ে শক্ত কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। স্বদেশী মডেলকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। হাজারো নেতিবাচক খবরের ভিড়ে এই একটা খবরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন নেইমার ভক্তরা। অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ না থাকায় মামলাটি খারিজ করা হয়েছে বলে সাও পাওলোর অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস জানিয়েছে।
ব্রাজিলিয়ান মডেল নাজিলা ত্রিনদাদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল নেইমারের বিরুদ্ধে তদন্ত। গত মে মাসে নিজের অভিযোগপত্রে নাজিলা উল্লেখ করেছিলেন প্যারিসের একটি হোটেলে ডেকে যৌন নির্যাতন করেছেন নেইমার।
তাৎক্ষণিকভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নেইমার। তবে তার বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্তের বিষয়ে বলেননি কোনো কিছু। যার ফলে এ খবরটি ছড়িয়ে পড়ে পুরো ব্রাজিলে এবং ফুটবল বিশ্বে বেশ নাড়া দেয়।
গত জুনে আত্মপক্ষ সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন নেইমার। যেখানে নাজিলার সঙ্গে তার কথোপকথনের হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট উল্লেখ করে দেন। এর মাধ্যমে নেইমার দাবী করেন যে অভিযোগ আনার মতো কিছুই হয়নি।
ব্রাজিলের একটি টিভি চ্যানেলকে কিছুদিন আগে নেইমার সিনিয়র বলেন, ‘সময়টা কঠিন। দ্রুত সত্য জানাতে না পারলে এটা আরও বড় হবে। সেই নারীর সঙ্গে নেইমারের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা প্রকাশের প্রয়োজন হলে আমরা তা করব।’ নেইমারের তরফ থেকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে কোনো জোর ছিল না, দুজনের সম্মতিতেই তা হয়েছে বলেই দাবি। এর সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও আছে বলে তখন নেইমারের বাবা মন্তব্য করেন।

See also  দেখুন মেসির চোখে সেরা পাঁচ ফুটবলার কারা। নেইমারকে সেরা বলতে কার্পণ্য করেননি!

গত মাসে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা নিয়ে হাজির হন নেইমার নিজে। সাত মিনিটের ভিডিওতে নেইমার দেখান, নাহিলা ত্রিনদাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কী কী কথাবার্তা হতো। সেই নারীর সম্মতি ছাড়াই এভাবে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা ফাঁস করার মাধ্যমে আরেকটি আইন ভঙ্গ করেন নেইমার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা নিয়ে নেইমারকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল ব্রাজিল পুলিশ।

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে নেইমারের বিপক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ না পাওয়ার ব্যাপারে অভিযোগকারী নারী বলেছেন, ‘পুলিশ আর বিচারক সবাইকে নেইমার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে। এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। আমি তো আর পাগল নই, বুঝি সবই।’ নেই নারী বলেছেন, লড়াইটা এখন তাঁর একার। অন্যদিকে সবাই। এই লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *