এবারের কোপা আমেরিকা জয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ছিলেন লিওনেল মেসি। যেকোনো অর্থে চেয়েছিলেন নিজের জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে দক্ষিণ আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরতে। কিন্তু তা পারেননি। বিদায় নিয়েছেন সেমিফাইনাল থেকে, টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন তৃতীয় হয়ে। তবু একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এমন মন্তব্য করা মোটেও ভালো চোখে দেখেনি কনমেবল। ধারণা করা হয়েছিল যেমনভাবে মুখ খুলেছেন, তাতে দুই বছরের জন্যও নিষিদ্ধ হতে পারেন মেসি। তবে পাঁচবারের ‘ব্যালন ডি’অর’ জয়ী খেলোয়াড়ের ওপর এতটা কঠোর হয়নি কনমেবল।
কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হার ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে জয়ের পর কনমেবল অফিশিয়াল ও সদস্যদের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন মেসি। মেসি দাবি করেছিলেন, স্বাগতিক ব্রাজিলের হাতে শিরোপা তুলে দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করছে কনমেবল। আর সেমির পরে এসব কথা বলেছিলেন দেখেই পরের ম্যাচে (চিলির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী) লাল কার্ড দেখানো হয়েছে—এমন দাবিও করেছিলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এ ফুটবলার। পরে অবশ্য নিজ আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (কনমেবল) ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন লিওনেল মেসি। এ ছাড়া তাঁকে ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। শাস্তির বিপক্ষে আপিল করতে সাত দিন সময় পাবেন আর্জেন্টাইন এ তারকা। কাল তাঁকে এ শাস্তি দেয় কনমেবল।
চিলির বিপক্ষে সে ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় মেসি এরই মধ্যে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। মার্চে দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারবেন না তিনি। এবার তিন মাস নিষিদ্ধ হওয়ায় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চিলি, মেক্সিকো ও জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও খেলতে পারবেন না। ৫ সেপ্টেম্বর লস অ্যাঞ্জেলসে চিলির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। পাঁচ দিন পর সান আন্তোনিতে তাঁদের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো। জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ৯ অক্টোবর ডর্টমুন্ডে।
সেমিফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দুটি ঘটনার জন্য খেপেছিলেন মেসি। সেমিতে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হারের ম্যাচে আর্জেন্টিনার দুটি পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়। আর চিলির বিপক্ষে ম্যাচে বিতর্কিতভাবে দেখেছিলেন লাল কার্ড।