প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর ইনজুরির কারণে অনেক সময় মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে নেইমার জুনিয়রকে। চোট কাটিয়ে যতদিন মাঠে নেমেছেন, তার বেশিরভাগ সময়ই দলের জয়ে রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। মেটজের বিপক্ষে চেনা ছন্দে ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। তাতেই অসাধারণ এক মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন তিনি।
ফরাসি লিগ ওয়ানে গতকাল মেটজের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে পিএসজি। পার্ক দে প্রিন্সেসে ফ্রেডেরিক আন্তোনেত্তির দলকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে স্বাগতিকরা। হ্যাটট্রিক করেছেন এমবাপ্পে, একটি করে গোল করেছেন নেইমার ও কাল শেষ ম্যাচ খেলতে নামা আনহেল দি মারিয়া। একটি গোল করে পিএসজির জার্সি গায়ে ১০০ গোল দেওয়ার কীর্তি গড়েছেন নেইমার। এই নিয়ে তিন ক্লাবের হয়ে অন্তত ১০০ গোল করা হয়ে গেল এই উইঙ্গারের। যে কীর্তি আগে শুধু রোমারিও আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছিল।
পেলের প্রাণের ক্লাব সান্তোসে আলো ছড়িয়ে মঞ্চে আবির্ভাব নেইমারের। সে ক্লাবে ২২৫ ম্যাচ খেলে ১৩৬ গোল করেছেন নেইমার।
এরপর বার্সেলোনা। সেখানেও হাঁকিয়েছেন ‘সেঞ্চুরি’। ১৮৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ১০৫ গোল। ২০১৭ সালে পিএসজিতে আসার পর ১০০ গোল করতে সময় নিলেন মোটামুটি ৫ বছর। ১৪৪ ম্যাচ খেলে ১০০ গোল হয়ে গেছে তাঁর। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন চোটের সঙ্গে নিত্য বসবাস না হলে হয়তো আরও আগে পিএসজির হয়ে শতক হাঁকাতে পারতেন।
নেইমারের স্বদেশি কিংবদন্তি রোমারিও অবশ্য কাজটা অনেক আগেই করে দেখিয়েছিলেন। তাঁর শতক হাঁকানো তিন ক্লাব—পিএসভি আইন্দহোভেন, ভাস্কো দা গামা ও ফ্লামেঙ্গো। ওদিকে রোনালদো গোলের শতক হাঁকিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের হয়ে।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতায় ৪৫০ গোল করা রোনালদো এখন পর্যন্ত ইউনাইটেডের হয়ে করেছেন ১৪২ গোল, জুভেন্টাসের হয়ে ১০১ গোল।