লা লিগায় কাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। ১০ বছর পর লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচ হারল কাতালান ক্লাবটি। বার্সেলোনা দলটায় লিওনেল মেসি যে কি, সেটা আরও একবার টের পেল লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার রাতে স্যান ম্যামসে লা লিগার মৌসুম শুরুর ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর। দুর্বল অ্যাটলেটিকো বিলবাওয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে আরনেস্তো ভালভার্দের দল।
ম্যাচটি শুরুই হয় বার্সার জন্য দুটি ধাক্কা খাওয়ার মতো খবর দিয়ে। প্রথমটি হলো, মেসি এই ম্যাচে খেলার মতো ফিট নন। আরেকটি ফিলিপ কৌতিনহোর ধারে বায়ার্ন মিউনিখে চলে যাওয়া। তবে প্রথমার্ধেই সেরা সুযোগটি মিস করে বার্সা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে বিলবাওয়ের উনাই লোপেজের ভুল ব্যাক পাসে ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান লুইস সুয়ারেস। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডের নেয়া শটটি আটকে যায় পোস্টে।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ডান পায়ের চোটে মাঠ ছাড়েন সুয়ারেজ। ৪৪ মিনিটে আরও একবার ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়ে বার্সা। এবার ডি-বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার রাফিনহার নেওয়া উঁচু কোনাকুনি শট ক্রসবারে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধেও একইরকম ছিল বার্সা। গোলের দেখা পায়নি। রাফিনহাই যা একটু দৌড়ে খেলেছেন। ম্যাচ যখন গোলশূন্য ড্রয়ের পথে, ঠিক তখনই বার্সা শিবিরকে স্তব্ধ করে দেন বিলবাওয়ের বদলি খেলোয়াড় আরিৎস আদুরিজ। ৮৯তম মিনিটে দুর্দান্ত এক বাই-সাইকেল কিকে টার স্টেগানকে বোকা বানান স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। তাতেই ছয় বছর পর লিগে বার্সার বিপক্ষে জয় পায় বিলবাও।
লিগের প্রথম ম্যাচের খেলা দেখতে বিলবাওয়ে দলের সঙ্গে এসেছিলেন ক্লাব সভাপতি বার্তেমেউ। তাঁকে দেখতে পেয়ে নেইমার নেইমার বলে স্লোগান দেন টিম হোটেলের সামনে জড়ো হওয়া সমর্থকেরা। নেইমারকে ‘ঘরে’ ফেরানোর দাবি জানিয়ে দেওয়া হয়। পুঁচকে বিলবাওয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর এই স্লোগান এখন সারা বিশ্বে বার্সা সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার কথা। এই ম্যাচে খেলতে পারেননি অধিনায়ক লিওনেল মেসি। মেসির চোটের সঙ্গী হয়েছেন বন্ধু লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচেই চোট নিয়ে উঠে যান তিনি। বার্সেলোনার হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে বহু আলোচনার জন্ম দিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে নাম লেখানো আঁতোয়ান গ্রিজমানের। কিন্তু মেসি বা সুয়ারেজের শূন্যতা তাঁর একার পক্ষে ঘুচিয়ে দেওয়া যে সম্ভব নয়, ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বার্সার অস্ত্রাগারে ওউসমানে ডেম্বেলে আছে বটে। তবে ক্লাবটির ভাঁড়ারে যে নেইমারকেও প্রয়োজন, তা আবার বোঝা গেল।