তবে এ ম্যাচে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় প্রশান্তি নেইমার। চোট কাটিয়ে মাঠে নেমে ফিটনেস ও ছন্দে ফেরার প্রমাণ দিয়েছেন এ তারকা। জাতীয় দলের হয়ে ৯৮ ম্যাচে এ নিয়ে ৬১ গোল করলেন নেইমার। আর দুই গোল করলেই রোনালদোকে (৬২) টপকে উঠে আসবেন শীর্ষ দুইয়ে (ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা)। ৭৭ গোল নিয়ে শীর্ষে পেলে।
মিয়ামি গার্ডেনের হার্ড রক স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটি দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফিরেছেন নেইমার। গত জুনে কাতারের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের পর ক্লাব কিংবা দেশের হয়ে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ১৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। সেই গোলেও অবদান ছিল নেইমারের। তার নেয়া কর্নার থেকেই হেডে গোল করেন কাসিমিরো। কলম্বিয়ার অবশ্য জবাব দিতে সময় লাগেনি। দলের সেরা তারকা তিনি। কিন্তু চোটের কারণে কোপা আমেরিকার মতো টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি। নেইমারকে ছাড়াই অবশ্য কোপা জিতেছে ব্রাজিল। তবে আজ (শনিবার) ভোরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে এই ব্রাজিলই হারতে বসেছিল। বাঁচালেন তিন মাস পর মাঠে ফেরা নেইমার।
পিএসজি তারকার দ্বিতীয়ার্ধের গোলেই কলম্বিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচে অবশ্য শুরুতে এগিয়ে ছিল তারাই। তবে পরে দুই গোল করে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। শেষতক দলকে বাঁচান নেইমার। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে বক্সের মধ্যে লুইস মুরালকে ফাউল করে বসেন ব্রাজিলের অ্যালেক্স সান্দ্রো। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেটি থেকে গোল করতে ভুল করেননি আটলান্টা স্ট্রাইকার মুরাল।
এর নয় মিনিট পর আরও এক গোল হজম করে বসে ব্রাজিল। গোলদাতা সেই মুরালই। এবার দুভান জাপাতার কাছ থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান তিনি। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রায় সমান তালে লড়েছে কলম্বিয়া। তবে ৫৮ মিনিটে তাদের জয় পাওয়ার আশাটাকে দুরাশায় পরিণত করেন নেইমার। দানি আলভেজের কাছ থেকে গোলপোস্টের খুব কাছে বল পেয়ে বাঁ পায়ে নিমিষেই সেটা জালে ঢুকিয়ে দেন চোট কাটিয়ে ফেরা এই তারকা। শেষ পর্যন্ত ওই ২-২ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।