বার্সা প্রেসিডেন্টও বললেন ‘চাইলে চলে যেতে পারে মেসি’!
মেসির সঙ্গে ২০২০-২১ মৌসুম অবধি চুক্তি থাকলেও তার আগে মেসি চাইলে বেরিয়ে যেতেই পারেন। যদিও সেই বিষয় নিয়ে চিন্তিত নেন প্রেসিডেন্ট, তিনি পারস্পরিক সম্পর্কে বিশ্বাস রাখেন। বার্সা প্রেসিডেন্ট মনে করেন এতো দিনের সম্পর্কে পারস্পরিক বিশ্বাসটাই আসল। জেরার্ড পিকের সুরে সুর মিলিয়ে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ বলেছেন, মৌসুম শেষে লিওনেল মেসি চাইলে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে পারেন। পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি বার্সেলোনার সিনিয়র দলের হয়ে খেলছেন ২০০৪ সাল থেকে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করে দল। ১৫ বছর ধরে একই দলে খেলে মেসি যে শুধু বার্সার ভরসা হয়ে উঠেছেন তাই নয়, তিনি দলের সেরা অস্ত্রও বটে।
বার্সেলোনা ছেড়ে গেলে হয়তো অতীতে অনেক বড় ক্লাবেই যেতে পারতেন। বড় অঙ্কের অর্থের হাতছানি ছিল। তবে সবকিছুর মোহ ত্যাগ করে শৈশবের স্মৃতি বিজরিত বার্সাকেই শেষ ঠিকানা হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেই সৌভাগ্য হয়তো হচ্ছে না। কারণ ইতোমধ্যে বার্সা সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, মৌসুম শেষে মেসি চাইলে ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে চলে যেতে পারেন। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি বার্সেলোনার সিনিয়র দলের হয়ে খেলছেন ২০০৪ সাল থেকে। ২০১৭ সালে তাঁর সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করে দল। ১৫ বছর ধরে একই দলে খেলে মেসি যে শুধু বার্সার ভরসা হয়ে উঠেছেন তাই নয়, তিনি দলের সেরা অস্ত্রও বটে।
বার্তামেউ জানান, এমন ভাবেই চুক্তি করা হয়েছিল কিংবদন্তি জাভি, পুওল এবং ইনিয়েস্তার সঙ্গে। তার ভাষায়, ‘বড় খেলোয়াড়দের এই স্বাধীনতা থাকা উচিত। যদিও আমাদের চিন্তার কারণ নেই। তারা সবাই বার্সার প্রতি যথেষ্ট দায়বদ্ধ। আমরা চাই মেসি ২০২১ সালের পরেও বার্সার হয়েই খেলুক।’ এর আগে মেসির বার্সা সতীর্থ জেরার্ড পিকে বলেন, ‘আমি আগে থেকেই জানি, প্রতিটি মৌসুমের শেষে মেসি ফ্রি ট্রান্সফারে বার্সেলোনা ছাড়তে পারে। কিন্তু আমরা সবাই জানি, বার্সেলোনার প্রতি লিও কতটা দায়বদ্ধ এবং এটা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। ক্লাবকে সবকিছু দেওয়ার পর ভবিষ্যতে নিজের করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সে অর্জন করেছে।’
এই মুহূর্তে চোটের জন্য গ্যালারিতে বসেই খেলা দেখতে হচ্ছে মেসিকে। অন্যদিকে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে যে, জানুয়ারিতে নতুন ট্রান্সফার উইন্ডো খুললেও তারা ব্রাজিল তারকা নেইমারের জন্য হাত বাড়াবে না। এত দিন শোনা যাচ্ছিল, বার্সা এবং রিয়াল মাদ্রিদ দুই দলই নেইমারকে চায়। কিন্তু এবারের ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার আগে তা সম্ভব হয়নি। তাই ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়েই খেলবেন ব্রাজিল তারকা।