আর্জেন্টিনার ফক্স স্পোর্ত রেডিও’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুয়ারেস বলেছেন, ‘একটা সময় আমরা এই (২০০৭ সালে নেইমারের বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়া) ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলেছি। আমরা ওকে বলেছিলাম, পৃথিবীর আর কোথাও বার্সেলোনার চেয়ে ভালো জায়গা নেই। তবে সিদ্ধান্তটা সে-ই নিয়েছিল এবং চলে যায়। এখন সে ফেরার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করেছে।’ কাতালান ক্লাবে ফিরতে নেইমার সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করেছেন বলে জানিয়েছেন সুয়ারেস। তবে ২০১৭ সালে ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা নেইমারের ‘ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। যদিও ভুল শুধরে নিতে এবারের গ্রীষ্মের দলবদলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড চেষ্টার কমতি রাখেনি বলেও মনে করেন তিনি।
নেইমারের দলবদল চলার মুহূর্তেই বার্সেলোনা পেয়েছেন নতুন ‘সম্পদ’। মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিষেক হয়ে ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে গোল করার রেকরু্ড গড়েছেন আনসু ফাতি। স্কোয়াডের সবচেয়ে ছোট সদস্যের জন্য ড্রেসিং রুম সহজ করতে সিনিয়রদের ভূমিকা তুলে ধরেছেন সুয়ারেস। তিনি বলেছেন, ‘রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার একদিন আগে সে (আনসু) অনুশীলনে যোগ দেয়। আমরা সবাই ওকে দেখেছি, আর বয়স শোনার পর তো রীতিমত সবাই অবাক। যাইহোক, ওর জন্য ড্রেসিং রুমের পরিবেশটা বাড়ির মতো করার চেষ্টা করেছি আমরা। ও যাতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন, সেজন্য আমরা মজা করারও চেষ্টা করেছি।’
অন্যদিকে, বার্সেলোনায় ফিরতে না পেরে নেইমারের অবস্থা এখন কী, তা জানতে মুখিয়ে ফুটবলপ্রেমীরা। যদিও তার দলবদলের আলোচনা শেষ হওয়ার পরপরই ব্রাজিলের ক্যাম্পে যোগ দিতে হয়েছে। মিয়ামিতে এখন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর প্রস্তুতিতে নেমেছেন নেইমার। সেখানে হাসিখুশি নেইমারকেই দেখা গেছে। তাছাড়া তার সতীর্থ এদেরসনও জানিয়েছেন, ভালো আছেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
অনুশীলনের এক ফাঁকে নেইমার ইস্যু নিয়ে এদেরসন বলেছেন, ‘আমি তো তাকে হাসিখুশিই দেখছি। ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো যে কোনও খেলোয়াড়ের জন্য আনন্দের ব্যাপার।’