এই প্রথম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিই তাদের স্কোয়াড তৈরিতে ১ বিলিয়ন ইউরোর (প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) ক্লাবের মাইলফলকে পৌঁছে গেছে। এক গবেষণা রিপোর্টে দেখা গেছে, নিজেদের স্কোয়াড সাজাতে ১ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে ফেলেছে ইংল্যান্ডের এই ক্লাবটি। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিআইইএস ফুটবল অবজার্ভেটরি গবেষণা করে দেখাচ্ছে যে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের পেছনে ম্যানসিটি খরচ করছে ১.০১৪ বিলিয়ন ইউরো।
ফুটবল ইতিহাসে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিই প্রথম এই মাইলফলক স্পর্শ করলো। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, পিএসজি কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড- অনেক বড় বড় ক্লাবই ইতিমধ্যে অনেক বড় বড় ফুটবলার দলে ভিড়িয়েছে, সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দিচ্ছে; কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউই ১ বিলিয়ন ইউরোর খরচ করতে পারেনি। বিশ্বের সবেচেয় দুই দামি ফুটবলারকে (২২২ মিলিয়ন ইউরোয় নেইমার, ১৮০ মিলিয়ন ইউরো কাইলিয়ান এমবাপে) দলে ভেড়ালেও ১ বিলিয়ন ইউরো খরচ করার মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজি। গবেষণা রিপোর্টে দেখা গেছে, তারা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ৯১৩ মিলিয়ন ইউরো ব্যায় করছে তারা স্কোয়াড তৈরিতে।
স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ রয়েছে তিন নম্বরে। তারা খরচ করছে ৯০২ মিলিয়ন ইউরো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অনেক পিছিয়ে ম্যানসিটি থেকে। ওল্ড ট্র্যাফোডের ক্লাবটি স্কোয়াড তৈরিতে ব্যায় করেছে ৭৫১ মিলিয়ন ইউরো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ক্লাব লিভারপুল ব্যায় করেছে ৬৩৯ মিলিয়ন ইউরো।
সিআইইএসের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, গড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো স্কোয়াড তৈরিতে ব্যায় করছে ৩৪৫ মিলিয়ন ইউরো করে। অন্যদিকে লা লিগা এবং ইতালিয়ান সিরি-আ’র ক্লাবগুলো গড়ে ব্যায় করছে ১৬৭ মিলিয়ন ইউরো করে। ওই গবেষণা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, জার্মানির প্যাডারবর্ন স্কোয়াড তৈরিতে ব্যায় করছে মাত্র ৪ মিলিয়ন ইউরো। যারা সবচেয়ে মিতব্যায়ী।
১. ম্যান সিটি (১.০১৪ বিলিয়ন)
২. পিএসজি (৯১৩ মিলিয়ন)
৩. রিয়াল মাদ্রিদ (৯০২ মিলিয়ন)
৪. ম্যানইউ (৭৫১ মিলিয়ন)
৫. জুভেন্টাস (৭১৯ মিলিয়ন)
৬. বার্সেলোনা (৬৯৭ মিলিয়ন)
৭. লিভারপুল (৬৩৯ মিলিয়ন)
৮. চেলসি (৫৬১ মিলিয়ন)
৯. অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (৫৫০ মিলিয়ন)
১০. আর্সেনাল (৪৯৮ মিলিয়ন)