ফুটবল

গত ২০ বছর ধরে যে নারীদের খুঁজছেন রোনালদো!

ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলল রোনালদোর

একটা তারকা ফুটবলারের সাফল্যের পেছনে ঠিক কতটা কষ্টের খতিয়ান থাকে? কত যন্ত্রণা, কতটা ত্যাগ-তিতিক্ষার প্রহর অতিবাহিত করলে একজন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হওয়া যায়? সম্প্রতি ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’ নামের এক টিভি অনুষ্ঠানের জন্য পিয়ার্স মর্গ্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন রোনালদো। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তার ছোট বেলার কথা যখন তার বয়স ১১-১২ বছর।  উঠে এসেছে রোনালদোর উঠে আসার দিনগুলোর গল্প। বাবার সঙ্গে আদর্শ সম্পর্ক না থাকার হতাশা, ব্যক্তিগত জীবন, ফুটবলার হিসেবে চাওয়া পাওয়ার গলগুলো। এর মাঝে অনন্য হয়ে আছেন তিন নারী যারা রোনালদোকে আজকের রোনালদো হিসেবে গড়ে তোলায় কিছুটা হলেও ভূমিকা রেখেছেন। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে একটা সময় ছিল যখন কেউ তাকে চিনতো না, দুবেলা কি খাবেন-তা নিয়ে ভাবতে হতো। আজ অবদি পেছনে ফেলে আসা কষ্টের সে স্মৃতি ভোলেননি আজকের বিশ্বসেরা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, বরং খুঁজে ফিরছেন সেই ছোট্ট বেলায় তাকে বার্গার খেতে দেওয়া ম্যাকডোনাল্ডসের ‘সেলসগার্ল’ এদনা ও তার সঙ্গে থাকা অন্য দুই মেয়েকে।

See also  নতুন বছরের প্রথম ম্যাচে হেরেই গেল চ্যাম্পিয়নরা!

“প্রতি তিন মাসে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। বিষয়টা কষ্টের ছিল। পরিবার ছাড়া খুব কষ্টের একটা সময়।” “আমি যখন শিশু ছিলাম, ১১ বা ১২ বছর বয়স। আমাদের অর্থ ছিল না। লিসবনে আমরা সবাই এক জায়গাতেই থাকতাম যেমনটা অন্য খেলোয়াড়রাও থাকতো। তরুণ খেলোয়াড়রা।“ “রাত সাড়ে ১০টা বা ১১টার দিকে আমাদের ক্ষুধা পেতো। স্টেডিয়ামে আমরা যেখানে থাকতাম তার পাশেই ম্যাকডোনাল্ডস ছিল। সবসময় আমরা পেছন দিয়ে গিয়ে দরজায় নক করতাম, “হেই, কিছু বার্গার কি বেঁচে গেছে?”

“এদনা ও আরও দুজন মেয়ে, ওরা অবিশ্বাস্য রকমের ভালো ছিল। আমি ওই মেয়েদেরকে আর কখনও খুঁজে পাইনি। ওই মেয়েদেরকে খুঁজতে আমি পর্তুগালে কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু খুঁজে পাইনি।” “তারা ওই ম্যাকডোনাল্ডসটা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে আমি আশা করি, এই সাক্ষাৎকার ওই মেয়েদের খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। আমি তাদের তুরিনে অথবা লিসবনে আমার সঙ্গে ডিনারে নিমন্ত্রণ করতে চাই কারণ আমি তাদের কিছুটা ফিরিয়ে দিতে চাই।”

See also  মেসির সমর্থকদের মহাদুঃচিন্তা! চিলিবাধা পেরিয়ে তৃতীয় হতে পারবে তো মেসির আর্জেন্টিনা?

এমন একটি গল্পের শেষ সব সময়ই ইতিবাচক হয়। পিয়ার্স মরগান জানিয়েছেন, এর মাঝেই এডনার খোঁজ পেয়েছেন তারা!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *