ফুটবলের বিশ্বসেরা ২০১৯ কে? মেসি, রোনালদো নাকি ভার্জিল ফন ডাইক! দেখে নিন
এ বছর বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় কে? জানা যাবে আজ। আর এই পুরস্কার পাওয়ার লড়াইয়ে এবার মেসি-রোনালদোর সঙ্গে আছেন ভার্জিল ফন ডাইক। পাঁচবার করে বিশ্বের সেরা হওয়া মেসি ও রোনালদোর মধ্যে যেকোনো একজন আজ আরেকজনকে টপকে যেতে পারেন। কিংবা গতবারের মতো এবারেও ‘ফিফা বেস্ট’ পুরস্কারটা শোভা পেতে পারে মেসি-রোনালদো ছাড়া অন্য কারও হাতে। সে অন্য কেউটা কি ভার্জিল ফন ডাইক হতে পারবেন? পারবেন গতবারের ‘ফিফা বেস্ট’ জয়ী লুকা মদরিচের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে? আজ রাত সাড়ে ১২টায় জানা যাবে সেটা। তারার মেলা বসতে যাচ্ছে ইতালির মিলানের অপেরা হাউজ লা স্কালায়।
এখানেও ফন ডাইকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মেসি ও রোনাল্ডো। গত মৌসুমে লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় ভূমিকা রাখায় ফুটবলবোদ্ধাদের চোখে ফন ডাইকই ফেভারিট। তিনি জিতলে ১৩ বছর পর বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পাবেন কোনো ডিফেন্ডার।
লিওনেল মেসি
অনেকের মতেই গতবার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন মেসি। পুরো মৌসুমে ৫১ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৫০টি। অনেক ম্যাচে বার্সেলোনাকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ লা লিগা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার উঠেছে তাঁর শোকেসে। ব্যক্তিগত দিক দিয়ে মৌসুমটা উজ্জ্বল কাটলেও দলগত দিক দিয়ে তেমন সফলতা পাননি এ আর্জেন্টাইন তারকা। সেটি ক্লাব বা আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ট্রফির বিচারে মেসির চেয়ে ভালো মৌসুম কাটিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো। জুভেন্টাসের হয়ে সুপার কাপ জিতে মৌসুম শুরু করে পরে মেসির মতো লিগ জিতেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেসিকে আবার ছাড়িয়েও গেছেন এই পর্তুগিজ তারকা। নতুন চালু হওয়া উয়েফা ন্যাশনস লিগ জিতেছেন পর্তুগালের জার্সিতে। দলগত দিক দিয়ে সফল মৌসুম কাটালেও ব্যক্তিগত দিক দিয়ে কিন্তু অত দুর্দান্ত ছিলেন না রোনালদো। গোটা মৌসুমে ৪৩ ম্যাচ খেলে ২৮টা গোল করেছিলেন। গত এক দশকে এই প্রথম ত্রিশের কম গোল করলেন পর্তুগিজ তারকা। গতবার দ্বিতীয় হওয়া রোনালদো এবার এ কারণেই হয়তো একটু পিছিয়ে আছেন!
ভার্জিল ফন ডাইক
ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ও দলীয় সাফল্যের মানদণ্ডে তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন ফন ডাইক। যে মানদণ্ডে মেসি ও রোনাল্ডোর এক দশকের আধিপত্যে ছেদ টেনে গতবার ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ হয়েছিলেন লুকা মদরিচ। আজ মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৩০ মিনিটে।
ডিফেন্ডার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ফন ডাইক। লিভারপুলের জার্সিতে কী অসাধারণ মৌসুম কাটিয়েছেন এই ডিফেন্ডার, এই একটা তথ্যেই যথেষ্ট। দেড় বছর আগে লিভারপুলে যখন যোগ দিলেন, অল রেডদের রক্ষণভাগ নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত। সে অবস্থা থেকে লিভারপুলের রক্ষণভাগ যে আজকে তর্কযোগ্যভাবে ইউরোপের সেরা, তার পেছনে মূল কৃতিত্ব এই ডাচ সেন্টারব্যাকের। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে গত ৬৪ ম্যাচে ফন ডাইককে ড্রিবলে পরাস্ত করে কেউ গোল করতে পারেননি, ভাবা যায়!
একটুর জন্য লিগ শিরোপা জেতা না গেলেও গত মৌসুমে ফন ডাইক লিভারপুলকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। কিছুদিন আগে জিতলেন উয়েফা সুপার কাপও। বিশ্বকাপ না খেলতে পারা নেদারল্যান্ডসকে ন্যাশনস লিগের ফাইনালে ওঠানোর পেছনে অধিনায়ক ফন ডাইকের ভূমিকা ছিল অনেক। কিছুদিন আগে পেয়েছেন উয়েফার বর্ষসেরার পুরস্কার। ইউরোপ সেরা হওয়ার দৌড়ে মেসি-রোনালদোর চেয়ে তাই কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই ফন ডাইক।
ফিফা অধিভুক্ত জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে নির্বাচিত সাংবাদিকদের ভোটাভুটিতে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যিনি পাবেন, তিনিই হবেন ‘ফিফা বেস্ট’। এ ছাড়া দেওয়া হবে ফিফা ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশের পুরস্কার। বর্ষসেরা গোলরক্ষক ও কোচ কে হয়েছেন, সেটাও জানা যাবে আজ। কোচের সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় এবার আছেন লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপ, ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা ও টটেনহামের মরিসিও পচেত্তিনো। গোলরক্ষকের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন লিভারপুলের অ্যালিসন বেকার, ম্যানচেস্টার সিটির এডারসন ও বার্সেলোনার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন। একই সঙ্গে নারী বর্ষসেরা খেলোয়াড়, নারী দলের বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার ও পুসকাস অ্যাওয়ার্ডও দেওয়া হবে এই অনুষ্ঠানে।
I don’t think the title of your article matches the content lol. Just kidding, mainly because I had some doubts after reading the article.