ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে বাঁ পায়ের দারুণ শটে অ্যাঞ্জার্সের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নেইমার। এই মৌসুমে যেটা ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনের চতুর্থ লীগ গোল। কাকতালীয়ভাবে শনিবার অ্যাঞ্জার্স বিপক্ষেও এটি ছিল পিএসজির চার নম্বর গোল। চোট কাটিয়ে ফেরার পর এখন পর্যন্ত ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে চারটি গোল করেছেন নেইমার। ওই চারটিই আবার ম্যাচের ৭০ মিনিট পর। লীগ ওয়ানের এই মৌসুমে যেটা অন্য কোনো খেলোয়াড় পারেননি। যেন পিএসজির শেষের নায়ক নেইমারই।দুই গোল খাওয়ার পর খানিকটা ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় অ্যাঞ্জার্স। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে পিএসজির বিপদসীমায় নিয়মিত বিরতিতে ভয় ধরিয়েও পারেনি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নোঙর করতে। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে নেমে আরও দুই গোল হজম করে অ্যাঞ্জার্স। ৫৯তম মিনিটে ইদ্রিসা গিয়ের গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করে পিএসজি। আর ৯০তম মিনিটে নেইমারে পূরণ হয় পিএসজির গোলের হালি।
নেইমার কি তবে পিএসজির ‘শেষের মহানায়ক’ হচ্ছেন!
দিনটা ইকার্দির জন্য একটু স্পেশাল। ইন্টারের হয়ে লম্বা একটা সময় ইতালিয়ান লীগে ছিলেন। সেখানে শুরুর দিকে বল পায়ে নৈপুণ্য দেখালেও ধীরে ধীরে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। তাতে ইন্টারও তার ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। গত ট্রান্সফার উইন্ডোতে ধারে পিএসজিতে পাঠায় ইকার্দিকে। এরই মধ্যে ফরাসি ক্লাবের হয়ে চার ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তবে লীগ ওয়ানে অ্যাঞ্জার্স বিপক্ষেই অভিষেক গোলের দেখা পেলেন। তার আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে দুই ম্যাচে অংশ নিয়ে করেছেন এক গোল। একই সঙ্গে নেইমারের দুর্দান্ত ফর্ম পিএসজির জন্য স্বস্তির। একের পর এক চোটের ধকল কাটিয়ে শেষমেশ চেনা ছন্দে নেইমারকে পেয়ে তৃপ্তির ঢেুঁকর গিলতেই পারে বর্তমান লীগ চ্যাম্পিয়নরা।