প্রীতি হলেও নেইমারের কাছে ম্যাচটির আলাদা গুরুত্ব ছিল। দেশের হয়ে ‘সেঞ্চুরি’ ম্যাচ খেলতে নামেন তিনি। স্বভাবতই গোল করার জন্য মরিয়া ছিলেন সাম্বা তারকা। তবে শেষ পর্যন্ত গোলমুখ খুলতে পারেননি হালের ফুটবলের পোস্টার বয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুরুটা দুর্দান্ত করে ব্রাজিল। সূচনালগ্নেই জালের দেখা পেয়ে যান তারা। ৯ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের বাড়ানো বলে নিশানাভেদ করে দলকে লিড এনে দেন রবার্তো ফিরমিনো। প্রথমার্ধে একেবারে নিষ্প্রভ ছিলেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধেও খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি তিনি। পুরো ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ব্রাজিলের হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। তবে মাইলফলকের ম্যাচে তাকে জয় উপহার দিতে পারেননি জাতীয় দলের সতীর্থরা। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে আটকে গেছেন তারা। সেনেগালিজদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছেন সেলেকাওরা।
ঠিকানায় বল পাঠাতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন সেনেগালের বড় তারকা সাদিও মানেও। ম্যাচের কিছু সময় যেতেই দলের পক্ষে গোলের সুযোগও সৃষ্টি করেন তিনি। তবে সেই যাত্রায় তার বজ্রগতির শট প্রতিহত করেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসন। প্রতিরোধ করতে না পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। অবশ্য সেই মানেকে আটকাতে গিয়েই প্রথমার্ধের অন্তিমলগ্নে সেনেগালকে পেনাল্টি উপহার দেয় ব্রাজিল। ৪৬ মিনিটে সফল স্পট কিকে গোল করে নেইমারদের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন স্ট্রাইকার ফামারা দিয়েধিউ। শেষ অবধি দুদলের লড়াই ১-১ সমতায় শেষ হয়।