চোটের কারণে খেলতে পারছেন না নেইমার। কিন্তু তার অভাব অনুভূত হওয়ার সুযোগই দিচ্ছেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে ও মাউরো ইকার্দি। দু’জনকেই যেন পেয়ে বসেছে গোলের নেশা। গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ও ইকার্দির জোড়া গোলে ক্লাব ব্রুগেকে ৫-০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল পিএসজি। রোববার ফরাসি লিগেও একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন দু’জন। করলেন জোড়া গোল। তাতে ফরাসি ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেইয়ে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা দৌড়ে আরও এগিয়ে গেল পিএসজি।
নব্বইয়ের দশকে মার্শেই ও পিএসজি মুখোমুখি হলে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠত ফ্রান্সে। সমর্থকরা সেই উন্মাদনা ধরে রাখলেও মাঠের লড়াইয়ে আগের সেই ঝাঁজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ২০১১ সালে পিএসজি কাতারি মালিকানায় আসার পর ফরাসি ক্লাসিকোয় আর জয় পায়নি মার্শেই। গত পরশু রাতেও সেই একই গল্প। ১০ ও ২৬ মিনিটে মার্শেইয়ের বুকে দু’বার ছুরি চালান ইকার্দি। এরপর ৩২ ও ৪৪ মিনিটে এমবাপ্পের জোড়া গোল। চার গোল হজম করে বিরতির আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মার্শেই। দ্বিতীয়ার্ধে আরও কিছু সুযোগ পেলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি পিএসজি।
চোট কাটিয়ে ফেরার পর এ নিয়ে তিন ম্যাচে ছয় গোল করলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে। ইন্টার মিলান থেকে ধারে খেলতে আসা ইকার্দিও কম যাচ্ছেন না। শেষ পাঁচ ম্যাচে সাত গোল করেছেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ওদিকে মাঝমাঠে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন ইকার্দির স্বদেশি অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। রোববার ঘরের মাঠে দলের চার গোলের তিনটিই বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে নেইমারকে ছাড়াই দিব্যি উড়ছে পিএসজি। ১১ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে টমাস টুখেলের দল। আট পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নঁতে (১৯)। সাতে থাকা মার্শেইয়ের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট।