স্প্যানিশ লা লিগার চলতি মৌসুমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যে। কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ার লড়াইয়ে এবার খানিক পিছিয়েই গেলো বার্সেলোনা। যার ফলে রিয়ালের সামনে সুযোগ এসেছে এগিয়ে যাওয়ার। কিকে সেঁতিয়েনের অধীনে প্রথম হারের স্বাদ পেল বার্সেলোনা। লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ২-০ গোলে হারল তারা। এ নিয়ে ১৩ বছর পর দলটির ঘরের মাঠে হারলেন কাতালানরা। শনিবার ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে আতিথ্য নেয় বার্সা। প্রথমার্ধে দুই দলই ছিল সমানে সমান। এ অর্ধে কোনো দলই গোল হজম করেনি। স্কোরলাইন ছিল গোলশূন্য।তবে দ্বিতীয়ার্ধে জাল অক্ষত রাখতে পারেনি বার্সা। সেখানে সফল হয় ভ্যালেন্সিয়া।
অথচ ম্যাচের সকল পরিসংখ্যান ছিলো বার্সার পক্ষেই। পুরো ম্যাচে ৭৪ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছেন মেসি-গ্রিজম্যানরা। এমনকি আক্রমণও করেছে ১৪ বার। কিন্তু তারা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল মাত্র ৫টি শট। যেগুলোও খুব বেশি জোরালো ছিলো না। অন্যদিকে ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার আক্রমণগুলো ছিলো দারুণ গোছানো। মাত্র ৮ বার তারা আক্রমণ করলেও লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে ৬টি শট। যার মধ্যে দুইটিই প্রবেশ করেছে জালে। বার্সা গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান অন্তত গোটা চারেক দুর্দান্ত সেভ না দিলে বিশাল পরাজয়ই পেতে হতো ক্লাবটিকে।
বিরতি থেকে ফিরে খেই হারিয়ে ফেলে বার্সা। ৪৮ মিনিটে জর্দি আলবার আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। পক্ষান্তরে আরো এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। ৭৭ মিনিটে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন ম্যাক্সি গোমেজ।প্রথম গোলের শটটিও ছিল তার।একরকম ম্যাক্সিতেই হেরেছে বার্সা। এ নিয়ে ২০০৭ সালের পর ভ্যালেন্সিয়ার ঘরের মাঠে হারলেন অতিথিরা। এ হারের পরও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে বার্সা। ২১ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় তারা। ১ ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদেরও পয়েন্ট ৪৩। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লস ব্লাংকোরা।
উল্লেখ্য,আর্নেস্তো ভালভার্দে যুগের সমাপ্তির পর সেঁতিয়েনের আমলে বার্সার শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। লা লিগা ও কোপা ডেল রে’তে টানা ২ জয় তুলে নেয় তারা। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে ধরা খেল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এ পরাজয়ের ফলে ২১ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট দাঁড়াল ৪৩। তাদের এক ম্যাচ কম খেলে সমান ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছে রিয়াল। আজ (রোববার) রিয়াল ভায়োদলিদের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই শীর্ষে উঠে যাবে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।