নেইমার ইউরোপে খেলতে এসেছেন ২০১৩ সালে যখন তার বয়েস ২১। হয়তো তিনি তার আগেও ইউরোপে আসতে পারতেন। কিন্তু তাকে গড়ে তোলা হয়েছে এমনভাবে যাতে তিনি বার্সেলোনায় লিওনেল মেসির পাশাপাশি খেলার সুযোগ পান – যাতে তিনি সেরা হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন। কিন্তু নেইমারের এক নম্বর হয়ে উঠতে গেলে তাকে হয় মেসিকে ছাড়িয়ে যেতে হবে, নয়তো মেসিকে বার্সেলোনা থেকে চলে যেতে হবে, বা নেইমারকেই অন্য কোথাও যেতে হবে। যেহেতু প্রথম দুটো হয় নি তাই নেইমারই এখন বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিদে গেলেন।
কিন্তু নেইমারের আগমন তো বদলে দিচ্ছে প্যারিস সঁ জারমেইনের বর্তমানকেও। এতদিন ফ্রান্স বা ইউরোপের বাইরের দুনিয়ায় প্যারিস সঁ জারমেইন খুব একটা পরিচিত ক্লাব ছিল না। কিন্তু নেইমারের জন্যই এটি কি এখন সারা দুনিয়ার পরিচিত একটি ক্লাব হয়ে উঠতে যাচ্ছে? অ্যামস্টার্ডামে সাবেক ক্রীড়া সাংবাদিক এবং ইউরোপীয় ফুটবলের নিযমিত দর্শক অরণি জেড বলছিলেন, এতদিন পর্যন্ত ফ্রান্স বা প্যারিসের লোকেরাই পিএসজির ভক্ত ছিলেন। “কিন্তু এখন এমন হতে পারে যে নেইমারের জন্য সারা পৃথিবীতেই পিএসজির নাম ছড়িয়ে পড়বে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে ব্রাজিল ভক্তরা আছেন তারা হয়তো এখন নেইমারের জন্য পিএসজির খেলা দেখবেন।” বিশ কোটি পাউন্ডের রেকর্ড দামে নেইমারকে কিনে নেবার পর অনেকেই নতুন চোখে দেখছেন প্যারিস সঁ জারমেইন বা পিএসজিকে ।
এতদিন হয়তো ইউরোপের বাইরে অনেকেই প্যারিস সঁ জারমেইন সম্পর্কে খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু ব্রাজিলীয়ান তারকা নেইমার এই পিএসজিতে আসার ফলে এখন কি সারা পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি ব্রাজিল-ভক্ত এখন পিএসজির ফ্যান হয়ে যাবেন? ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার । তার বেতন হবে সপ্তাহে ৭ লাখ ৮২ হাজার পাউন্ড, বছরে ৪ কোটি পাউন্ডেরও বেশি।