বয়সে বেশ ব্যবধান থাকলেও দুই ব্রাজিল সতীর্থ নেইমার ও দানি আলভেসের বন্ধুত্বের মধ্যে তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। গোটা ব্রাজিল দলে নেইমারের সবচেয়ে বড় বন্ধু এই আলভেসই। এমনকি পিএসজিতেও। দুজন একই সময়ে এসেছেন পিএসজিতে। নেইমারের মনের কথা আলভেসের চেয়ে ভালো কে জানবেন? সেই আলভেসই যখন নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু একটা বলেন, গুরুত্ব দিতেই হয়। আলভেস বলেছেন, নেইমার পিএসজিতেই থাকবেন। আর এই কথার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য দরকার হলে গোটা আইফেল টাওয়ারটাই বাজি ধরতে চান এই তারকা।
গত কয়েক বছর ধরে দলবদলের সময় হলেই নেইমারকে নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। নেইমার বার্সেলোনায় যাচ্ছেন, না হয় নেইমার রিয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছেন—এই আলোচনায় মুখরিত থাকে দলবদলের কয়েকটা মাস। নেইমার নিজেও বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ সাক্ষাৎকার দিয়ে আগুনে সলতে দেন। মাঝে মাঝে কথা বলেন নেইমারের বাবাও।
ইউরোপে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে কম বিতর্কে জড়াননি নেইমার জুনিয়র। বিশ্বরেকর্ড পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন বছর দুইয়েক আগে। আর বিপত্তিটা ঘটেছে সেখানেই, এরপর থেকে একটার পর একটা বিতর্কে জড়িয়েছেন নেইমার। ইউরোপের প্রতিটি দল বদলের মৌসুমেই জোর গুঞ্জন ওঠে নেইমার পিএসজি ছেড়ে আবারো পাড়ি জমাচ্ছেন স্পেনে। আর তা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তার সতীর্থদেরও।
ব্রাজিল জাতীয় দল এবং পিএসজিতে নেইমারের সতীর্থ দানি আলভেজ, নেইমারের পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জনের ব্যাপারে কথা বলেছেন ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমের সাথে। একজন সাংবাদিক এলভেজকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন নেইমারকে নিয়ে। ‘নেইমার পিএসজি ছাড়লে আপনি আমাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবেন।’
জবাবে আলভেজ বলেন, ‘রেস্টুরেন্ট নয়, আইফেল টাওয়ার বাজি রেখে আমি বলতে পারি নেইমার পিএসজিতেই থাকছে।’ এর সাথে আরও যোগ করেন, ‘প্রতিটি দলবদলের মৌসুমেই নেইমারকে নিয়ে এমন গুঞ্জন ওঠে। কখনো রিয়াল মাদ্রিদে আবার কখনো বা বার্সেলোনাতেই পাড়ি জমায় সে। তবে আমি নিশ্চিত সে এখানেই থাকবে।’ আগামী ১৪ জুন থেকে নিজ দেশে বসতে যাচ্ছে কোপা আমেরিকার এবারের আসর। আর নেইমারের অধিনায়কত্বে এবার শিরোপার লক্ষ্যে মাঠে নামবে ব্রাজিল।