ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলল রোনালদোর
ফুটবলারদের ধর্ষণের মামলার খবর নতুন কিছু নয়। নেইমারের বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সংবাদ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। গতকাল পর্যন্ত নেইমারের মতো ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে চিন্তিত ছিল রোনালদোও। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা অভিযোগ তুলে নেওয়ায় এখন স্বস্তি পাচ্ছেন পর্তুগিজ এই তারকা।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! ৯ বছর আগের একটি যৌনমিলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছর পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন ক্যাথরিন মায়োরগা নামের এক নারী। সেই ঘটনা নিয়ে ফুটবলবিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়। রোনালদো বারবার অস্বীকার করেন এই অভিযোগ। তার দাবি ছিল, টাকা বা ক্যারিয়ার ধ্বংস করতেই মায়োরগা এই অভিযোগ সাজিয়েছিলেন। এবার রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সত্যি সত্যি তুলে নিলেন ক্যাথরিন! ডার স্পিগেল নামের এক ক্রীড়া ম্যাগাজিনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগার অভিযোগ করেছিলেন যে, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন রোনালদো। ৯ বছর পর গত সেপ্টেম্বরে নেভাদার জেলা আদালতে রোনালদোর বিরুদ্ধে মামলা করেন মায়োরগা। রোনালদোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে লাস ভেগাস পুলিশ। এমনও শোনা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখলেই নাকি রোনালদোকে গ্রেপ্তার করা হবে! কিন্তু মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, এত বছর পর এমন অভিযোগ কেন?
এর জবাবে ক্যাথরিন জানান, ২০০৯ সালের ঘটনার পর লাস ভেগাস পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে তখন বিপুল অংকের অর্থের মাধ্যমে সমঝোতা হয়েছিল। গত বছর যৌন হয়রানি নিয়ে ‘#মি টু’ আন্দোলনের পরই নাকি এ নিয়ে কথা বলার সাহস ফিরে পান মায়োরগা। যে কারণে তিনি টাকা নিয়েও সমঝোতা ভঙ্গ করেন। এবার প্রশ্ন উঠেছে, সাহস ফিরে পেয়ে আবার মামলা উঠিয়ে নেওয়া হলো কেন? এ ব্যাপারে কিছু স্প্যানিশ মিডিয়া বলছে, আবারও বিপুল অংকের টাকা পেয়েই নাকি মুখ বন্ধ করেছেন মায়োরগা! রোনালদো অবশ্য মায়োরগার এই ধর্ষণের অভিযোগ কখনোই স্বীকার করেননি। অনেকে মনে করছেন ২০১০ সালের মতো এবারও অর্থের বিনিময়ে সমঝোতা হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে।