বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টায় ব্রাজিলের অন্যতম বড় শহর বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে পেলে আর ম্যারাডোনার উত্তরসূরীরা। ইতিহাসে চোখ রাখলে ব্রাজিলই এই ম্যাচে এগিয়ে থাকবে। সেটা স্বাগতিক বলেই। কিন্তু আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকবে দলে মেসি নামের এক ফুটবলারের কারণে। এ সময়ের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকাকে রুখে ব্রাজিল কি পারবে ঘরের মাঠে কোপার শতভাগ সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে?
গত এক যুগে এক ডজনেরও বেশিবার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। কিন্তু ২০০৭ সালে কোপার ফাইনালের পর মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে দুই দলের মহারণ আর দেখেনি বিশ্বের কোটি-কোটি ফুটবল ভক্ত। দীর্ঘ ১২ বছরের সেই অপেক্ষার পালার অবসান হচ্ছে চলমান কোপা আমেরিকায়। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি দলের লড়াইটা হতে যাচ্ছে সেমিফাইনালেই।
আয়োজক হিসেবে কোপায় ব্রাজিলের সাফল্য হিংসে করার মতোই। ল্যাটিন আমেরিকার এই ফুটবল টুর্নামেন্ট যতবার আয়োজন করেছে ব্রাজিল ততবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ২০০৭ সালের ফাইনালে তো আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল রবিনহো, আয়ালা, দানি আলভেজ আর মাইকনদের ব্রাজিল। এক যুগ পর ব্রাজিলের বিরুদ্ধে কোপার সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ আর্জেন্টিনার।
দুই দলের এই মহারণে একটা অতৃপ্তি থেকেই যাবে দর্শকদের। মেসি আর নেইমারের লড়াইটা তো হচ্ছে না। ঘরের মাঠে কোপার সেমিফাইনালে যখন আর্জেন্টিনার সঙ্গে লড়বে ব্রাজিল তখন দেশটির এ সময়ের সেরা ফুটবলার নেইমার থাকবেন দর্শক হয়ে। তার অনুপস্থিতি একদিকে যেমন আর্জেন্টিনার স্বস্তি, অন্যদিকে দুনিয়া জুড়ে ব্রাজিল সমর্থকদের অস্বস্তি। নান্দনিক ফুটবলের দুই ধারকের লড়াইয়ে নেইমারের অনুপস্থিতি বড় একটা ঘাটতিই বটে।
ব্রাজিল দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার এবং সাবেক অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা ম্যাচকে সামনে রেখে বললেন, ‘মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। তিনি এখন ছন্দেও আছেন। তাই আমাদেরকে অবশ্যই মেসির ওপর আলাদা নজর রাখতে হবে। মাঠে মেসি উইথবলে থাকুক অথবা উইথআউট বলে-আমরা তাকে চোখে চোখেই রাখবো। প্রতি মুহূর্ত তাকে নজরে রাখতে হবে।’
পিএসজি’র এই ডিফেন্ডার মেসিকে নিয়ে আরও বলেন, ‘মাঠে কখনো মেসি বলে থাকবেন, কখনো হয়তো বলছাড়া হাঁটবেন। কিন্তু মেসি সবসময় জায়গা খুঁজবেন, সুযোগ খুজবেন এবং পাল্টা আক্রমনের চেষ্টা করবেন। আমরা সবসময় তাকে পাহারায় রাখবো।’