গতকাল রাতে ঐতিহাসিক মারাকান স্টেডিয়ামে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৯ম বারের মতো কোপার শিরোপা নিজেদের শো-কেসে তুলল ব্রাজিল। দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে কোপা আমেরিকার শিরোপার দেখা পাচ্ছিল না ফুটবলের পরাশক্তি ব্রাজিল। অবশেষে তাদের সেই অপেক্ষার পালা ফুরাল।দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো ফাইনাল ম্যাচটি মাঠে বসেই উপভোগ করেন। আর শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তিনি সোজা মাঠে নেমে ফুটবলারদের সঙ্গে শিরোপা উদযাপনে মাতেন। এর আগে কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচ ও সেমিফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণেও মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন বোলসোনারো। সেই দুই ম্যাচেও তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে মেতেছিল ব্রাজিলিয়ানরা। বেলো হরিজন্তেতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাকে জনরোষ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অবশ্য এর কারণ হিসেবে ভিন্ন কথা বলেন, ‘দুয়োধ্বনিগুলো সব আর্জেন্টিনার জন্য ছিল। আমাকে কেউ দেয়নি।’
এবারের কোপা আমেরিকা শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার ছিল ব্রাজিল। সেভাবে খেলেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাম লিখিয়েছিল তারা। ফাইনালি লড়াইয়েও ছন্দময় ফুটবল উপহার দিলেন সেলেকাওরা। পেরুকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে কোপা চ্যাম্পিয়ন হলেন তারা। ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে দগদগে এক ঘা হয়ে আছে ১৯৫০ সালের ‘মারাকানাজো’ ট্রাজেডি। এবার আর কোনো ট্রাজেডি নয়, উৎসবের রং ছড়ালো মারাকানা। হলুদ-নীলের জয় হলো, ১২ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলল ব্রাজিল।
এ নিয়ে ল্যাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নবমবার শিরোপা ঘরে তুললো ব্রাজিল। নেপথ্য নায়ক গ্যাব্রিয়েল জেসুস। নিজে গোল করে এবং সতীর্থকে দিয়ে করিয়ে ২০০৭ সালের পর দলকে কোপা ট্রফি জেতালেন তিনি। যদিও আনন্দের দিনে বিষাদময় অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। একপর্যায়ে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।