কোপা আমেরিকার এবারের টুর্নামেন্টটি একদমই ভালো কাটেনি আর্জেন্টিনার। স্বপ্ন ছিল শিরোপা জেতার, কিন্তু সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হেরে ছিটকে পড়তে হয় লিওনেল মেসির দলকে। ওই ম্যাচে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক ছিল। স্বভাবতই ছিটকে পড়াটা মেনে নিতে পারছে না আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি দাবি করেন, ফাইনাল খেলার যোগ্য ছিল আর্জেন্টিনাই। মেসিও বাজে রেফারিং নিয়ে অভিযোগ তুলেন। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। সেখানে ঘটে আরেক বিপত্তি।
কোপা আমেরিকা থেকে আর্জেন্টিনা ছিটকে পড়ার পর আয়োজক ব্রাজিল এবং ম্যাচ রেফারিদের ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ হিসেবে অভিযুক্ত করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ধুয়ে দেন ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল কর্তৃপক্ষ কনমেবলকেও। যার ফলশ্রুতিতে এবার বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বার্সা সুপারস্টার। নিষিদ্ধ হতে পারেন দুই বছরের জন্য। ‘অল ফুটবল’ জানিয়েছে, কনমেবলের গভর্নিং বডি মেসির এই শাস্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত দেবে। যদি সত্যিই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, তবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব এবং ঘরের মাঠে ২০২০ সালের কোপা আমেরিকাও খেলা হবে না আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরের।
করিন্থিয়াস এরেনায় চিলির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের ৩৭ মিনিটের মাথায় পাওলো দিবালার বাড়ানো বল মাঠের মধ্যে রাখতে গিয়ে চিলির ডিফেন্ডার গ্যারি মেডেলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় মেসির। মেডেল বারবার ধাক্কা মারতে থাকলেও মেসি ছিলেন নির্লিপ্ত। তবু মেডেলকে ফাউল করতে উৎসাহিত করার অপরাধে এবং মাথা দিয়ে আঘাত করার ইঙ্গিত করায় মেডেলের সঙ্গে মেসিকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতলেও রাগে ক্ষোভে তৃতীয় হওয়া দলের সদস্য হিসেবে মেডেল নিতে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই উঠেননি আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।