চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে আর্জেন্টিনা। মেসির দাবি, আসরে রেফারির বাজে রেফারিং এবং কনমেবলের দুর্নীতির কারণে ফাইনালে যেতে পারেননি তারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে জেতাতেই এসব ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন তিনি। ব্রাজিলের অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার এবারের আসরের শেষ চার থেকেই বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলের কাছে হেরে আরও একবার শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় আলবিসেলেস্তেদের। মেসির কথামত, ব্রাজিলই জিতেছে কোপার এবারের শিরোপা। মারাকানায় গতকাল রাতে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৯ম বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে দানি আলভেজ-ফিলিপে কুতিনহোরা। তবে মেসির অভিযোগ অনুসারে, ব্রাজিলকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য রেফারিদের মধ্যে কোনো বাড়তি প্রচেষ্টা চোখে পড়েনি। যোগ্য দল হিসেবেই শিরোপায় নিশ্চিত কতে সেলেসাওরা।
এরপরই মেসির সমালোচনায় মাতেন তিতে। তিনি বলেন, মেসি অসাধারণ ফুটবলার। খেলায় হার-জিত থাকবেই। সম্মানের সঙ্গে ফল মেনে নিতে হবে। আমি মনে করি, যেকোনো টুর্নামেন্টের প্রতি তার আরো সম্মান-শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।
এদিকে শিরোপা জেতার পর মেসির তোলা অভিযোগ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানাতে দেখা গেছে ব্রাজিল কোচ তিতেকে। প্রচণ্ড মেসি ভক্ত হলেও ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আঙুল তোলায় আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বেশ সমালোচনা করেন তিনি। এ ছাড়াও তাকে কথা বলার সময় আরও বেশি সতর্ক হতে বলেন ব্রাজিল কোচ, ‘যাকে আমি দারুণ, দুর্দান্ত ও অবিশ্বাস্য ফুটবলার হিসেবে দেখি, তাকে কথা বলার সময় আরও বেশি সম্মান দেখিয়ে বলা উচিত। এ ছাড়াও হারলে সেটাকে মেনে নেয়ার মানসিকতা রাখতে হবে।’
এরপর রেফারিদের বিরুদ্ধে তোলা মেসির অভিযোগের ব্যাপারে তিতে আরও বলেন, ‘আমরাও রেফারিদের কারণে বেশ কয়েক ম্যাচে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে আমরা আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ এক ম্যাচ খেলেছি। আমি আমার থেকে সৎভাবেই কথাগুলো বলছি। আসলে খ্যাতির বিড়ম্বনায় মেসি নিজের উপর অনেক চাপ নিয়ে নিচ্ছে।’
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নেমেও হতাশ হন আকাশি-সাদা-নীল জার্সিধারীরা। এ লড়াইয়েও রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের ফাঁদে পড়েন ১৪বারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে চিলি রক্ষণসেনা গ্যারি মেদেলের সঙ্গে বিবাদে জড়ান মেসি। তবে সেটা গুরতর ছিল না। অথচ দুজনকেই লালকার্ড দেখান রেফারি। লঘু অপরাধে গুরু দণ্ড পান তারা।
তিতে বলেন, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পুরো সময় আমরা পরিষ্কার খেলেছি। রেফারি আমাদের পক্ষে ছিলেন না। তবে চিলির বিপক্ষে মেসির লালকার্ড পাওয়া দুঃখজনক। সে এটা পায় না। আসলে বহিষ্কার হওয়ার কথা ছিল মেদেলের।