নেইমারের অনুস্থিতিতে জ্বলে উঠেছিলেন মে মাসে দলের অধিনায়কত্ব পাওয়া অ্যালভিস ও এভার্টন। অ্যালভিস ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়েছেন। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২-০ জয়ের পথে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনিই। প্রথম গোলটাই যে তাঁর। এভার্টন। তারকা উইঙ্গারের দুরন্ত প্রদর্শনে মুগ্ধ দর্শকরা। তিনিই টপ স্কোরার। অথচ নেইমার খেললে তিনি হয়তো সুযোগই পেতেন না। এমনকী, ভেনেজুয়েলার সঙ্গেও তিনি প্রথম থেকে দলে ছিলেন না। কিন্তু পরে দলে ধীরে ধীরে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন তিনি।
ব্রাজিলের ৪৩ বছরের ফুটবল ফ্যান এলিন ভিয়েরা পেসোয়া ডিসুজা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘এর থেকে প্রমাণ হল আমরা ওঁর (নেইমার) উপরে আর নির্ভর করি না। সব কিছু ওঁর উপরে আর নেই। এটা ব্রাজিল। কে খেলছে সেটা কোনও ব্যাপারই নয়।”
গ্রুপ পর্বে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ০-০ ড্র করে ব্রাজিল। নেইমার ছাড়া সেই ম্যাচে তেমন ভাল খেলতে পারেনি তাঁর দল। কিন্তু ওই ম্যাচের পর থেকেই ধীরে ধীরে উন্নতি হতে থাকে দলের খেলার। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ৩-১ গোলে পেরুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ব্রাজিল। ১২ বছর কোপা আমেরিকা সেরা হয়ে ট্রফি হাতে তুলে নিলেন অধিনায়ক দানি অ্যালভিস। সেই সঙ্গে ব্রাজিল দল প্রমাণ করে দিল তারা নেইমারকে ছাড়াই কাপ জিততে পারে।
নেইমার-নির্ভরতা কাটিয়ে উঠে দলগত ভাবে খেলেই এবার কোপা আমেরিকা সেরা হল তারা। সেরা আক্রমণ, সেরা ডিফেন্স-ব্রাজিল সত্যিই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল। রক্ষণে অ্যালভিসের দুরন্ত প্রদর্শনের পাশাপাশি টপ স্কোরার এভার্টনের দুর্দান্ত খেলা, সেই সঙ্গে গোলরক্ষক হিসেবে অ্যালিসনের দক্ষতা- নেইমারের অভাবটুকুও অনুভূত হতে দেয়নি।
তবে লিভারপুলের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলা খেলোয়াড় অ্যালিসন মানতে রাজি নন, ব্রাজিল দল নেইমারের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। তিনি জানিয়েছেন, নেইমারের অনুপস্থিতিতে সেরা হওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু দলের শক্তি দেখানোর জন্যই সেরা হওয়া একান্ত প্রয়োজন ছিল, এমনটাই মত তাঁর।