ভ্রমণ

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৭ দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৭ দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা

 

বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভ্রমণ সুবিধা: বিস্তারিত তথ্য

হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স ২০২৪ অনুযায়ী, ১৯৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টের স্থান ৯৭তম। মূলত একটি দেশের জনগণ ভিসা ছাড়া কতগুলো দেশে যেতে পারে, তার ওপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের মূল্যায়ন করা হয়।

বাংলাদেশি নাগরিকরা আগে থেকে কোনো ভিসা আবেদন ছাড়াই বেশ কিছু দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই সুবিধাটি হলো অন-অ্যারাইভাল ভিসা। অর্থাৎ, আপনি গন্তব্য দেশে পৌঁছে বিমানবন্দরেই ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে এমন ১৭টি দেশের মধ্যে রয়েছে:

  • এশিয়া: মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, পূর্ব তিমুর, শ্রীলঙ্কা
  • আফ্রিকা: কাবো ভার্দে, মৌরিতানিয়া, বুরুন্ডি, কমোরোস, গিনি-বিসাউ, মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, সিশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া
  • দক্ষিণ আমেরিকা: বলিভিয়া
  • ওশানিয়া: টুভালু
See also  ফার্মগেট ঢাকার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। জেনে নিন “ফার্মগেট” এর নামকরণের ইতিহাস

অন-অ্যারাইভাল ভিসার প্রক্রিয়া:

  • আগে থেকে আবেদন করার প্রয়োজন নেই: আপনি গন্তব্য দেশে পৌঁছে বিমানবন্দরে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • ফি পরিশোধ: ভিসা সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে।
  • দ্রুত প্রক্রিয়া: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবেদন জমা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিসা পাওয়া যায়।
  • ভিসার মেয়াদ: সাধারণত ১৪ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত।

মনে রাখবেন:

  • দেশভেদে শর্তাবলী পরিবর্তিত হতে পারে: প্রতিটি দেশের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার শর্তাবলী আলাদা হতে পারে। তাই ভ্রমণের আগে গন্তব্য দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করুন।
  • পাসপোর্টের মেয়াদ: আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ যাত্রার সময়কাল এবং ভিসার মেয়াদের চেয়ে কমপক্ষে ছয় মাস বেশি হওয়া উচিত।
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: ভিসা সংগ্রহের সময় অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন ফ্লাইট টিকিট, হোটেল বুকিং ইত্যাদি সাথে রাখুন।
See also  ফার্মগেট ঢাকার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। জেনে নিন “ফার্মগেট” এর নামকরণের ইতিহাস

বিস্তারিত তথ্যের জন্য:

  • বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট: সর্বশেষ তথ্যের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
  • গন্তব্য দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট: ভ্রমণের আগে গন্তব্য দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করুন।

এই তথ্যটি আপনার ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করতে সহায়তা করবে।

আপনার ভ্রমণ যেন সুখকর হয়!